চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ বলেছেন, যে যত কথাই বলুক নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে, মানে হতেই হবে। এর কোনো অল্টারনেটিভ নাই। অল্টারনেটিভ নাই কেন? নির্বাচন না হওয়ার মাধ্যমে কোনো স্টেকহোল্ডারের কোনো সুবিধা নাই। প্রত্যেকে বিপদে পড়বে।
এই সরকারে যারা যুক্ত তাদেরকেই নির্বাচনের মাধ্যমেই পরবর্তী সংসদে ইনডেমনিটি নিয়ে নিজেদের সেফটি এবং সেফ এক্সিট এনশিওর করতে হবে। সুতরাং তাদের জন্য এই নির্বাচনটা ফরজ। না হলে দুই একজন বিশেষ বিবেচনায় বিদেশ যেতে পারলেও কেউ জেলের বাইরে থাকবেন এটা ভাবার কারণ নেই উপদেষ্টাদের বা তাদের সরকারের পরিচালকদের।
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী শুরু থেকেই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন দেশে হোক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ আসুক। তারা ব্যারাকে ফিরে যেতে চায়। এইভাবে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তাদেরকে আর বাইরে রাখা সম্ভব না, উচিত না। রাজনৈতিক দলগুলো বেশিরভাগ চায়, তার মধ্যে দুই একটা দল— এই প্রতীক না হলে যাবো না, এই পিআর না হলে দিবো না বলে যে কর্মসূচি দিচ্ছে, কথা বলছে এটা শুধুমাত্র রাজনৈতিক আলোচনায় থাকার জন্য।
আর হচ্ছে কোনো পক্ষ বা গ্রুপের ওপর একটু প্রেসার ক্রিয়েট করার কৌশল ছাড়া আর কিছু না। সুতরাং তারাও নির্বাচনে যাবেন।
সায়ন্থ বলেন, নির্বাচন না হলে লাভবান হবে পতিত, পলাতক, খুনি, ফ্যাসিবাদ গোষ্ঠী এবং তাদের প্রভু ইন্ডিয়া। আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাকি সবাই। সুতরাং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই।সায়ন্থ আরো বলেন, প্রশ্নটা হচ্ছে নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল হবে কিনা? ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল হবে কিনা, ওই ক্রেডিবলের মধ্যেও আবার পার্টিসিপেটরি খানিকটা চলে আসে।
ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন হতে হলে প্রশাসন, পুলিশ, সরকারের ইচ্ছা, নির্বাচন কমিশন এরকম বহুমুখী যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর কোঅর্ডিনেশনে এখনো সাংঘাতিক অভাব আছে। এই নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য এখন পর্যন্ত ধারণা, সেনাবাহিনীর ব্যাপক ব্যবহার ছাড়া, মাঠে উপস্থিতি ছাড়া এবং তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া ছাড়া— নির্বাচন কতটুকু ক্রেডিবল করা যাবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা যাবে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
ইউটি/টিএ