লন্ডন বৈঠকের পর থেকেই আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গ। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে দেশে ফিরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর সংবাদ সম্মেলন ডেকে দিনক্ষণ জানিয়ে দেবেন তিনি।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় বিএনপি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিরতে পারেন- দলের পক্ষ থেকে এমন আভাস দেয়া হলেও এখনও চূড়ান্ত হয়নি দিনক্ষণ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে ফেরার পর চূড়ান্ত হবে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সূচি।
এম এ মালেক বলেন,
আমাদের মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলে তার কাছে অনেক বার্তা থাকবে। তিনি যে সংবাদ সম্মেলন করবেন। তার মুখ থেকেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে দেশে ফিরবেন, সেই তারিখ জানতে পারবেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় সশরীরে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। ভোট ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র। এরইমধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রামের ফল হিসেবে নির্বাচন চায় দেশের মানুষ। জনগণ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন বলেন,
সবাই চায় যেন ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু সরকার আসুক। নিরপেক্ষ সরকার এসে দেশটা অন্তত শান্তির দিকে আসুক।
২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ভার্চুয়ালি রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে ইঙ্গিত মিলছে, আগামী নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন তিনি।
গেল সতের বছর ধরে দেশের বাইরে থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলকে দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছেন তারেক রহমান। দীর্ঘ সময় পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে নতুন করে আগ্রহ দেখা দিয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।
ইএ/টিকে