আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমল বেশ। রক্ষণে দৃঢ়তা দেখাল দুই দলই। এর মাঝেই আত্মঘাতী হলো বেনফিকা। হারে আসর শুরুর পর প্রথম জয়ের দেখা পেল চেলসি।
ঘরের মাঠে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে ইংলিশ ক্লাবটি। প্রথমার্ধে বেনফিকার আত্মঘাতী গোলটিই গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।
জয়ের আনন্দের মাঝেই চেলসির জন্য অস্বস্তির কাঁটা হয়ে এসেছে জোয়াও পেদ্রোর লাল কার্ড। শেষ বাঁশি বাজার ৩০ সেকেন্ডের মতো বাকি থাকতে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরের ম্যাচে আয়াক্সের বিপক্ষে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে পাবে না চেলসি।
২০২৩ সালের মার্চের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির প্রথম জয় এটি।
এই জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৭তম স্থানে উঠেছে চেলসি। বেনফিকার পয়েন্ট শূন্য।
এই ম্যাচ দিয়ে লম্বা সময় পর স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফেরেন চেলসির একসময়ের কোচ জোসে মরিনিয়ো। ম্যাচের একপর্যায়ে বেনফিকা থেকে চেলসিতে আসা এনসো ফের্নান্দেসকে লক্ষ্য করে বস্তু ছুড়ে মারে পর্তুগিজ ক্লাবটির সমর্থকরা। তখন এগিয়ে গিয়ে হাত উঁচিয়ে তাদের থামতে বলেন বেনফিকা কোচ মরিনিয়ো।
ম্যাচে পজেশনে কিছুটা এগিয়ে ছিল চেলসি। গোলের জন্য আট শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। বেনফিকার ৯ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল।
নবম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বেনফিকা। বক্সের ভেতর বাঁ দিক থেকে দোদি লুকাবাকিওর শট চেলসি গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।
সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় অষ্টাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। ডান দিক থেকে পেদ্রো নেতোর ক্রসে দূরের পোস্টে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর ভলি বেনফিকার মিডফিল্ডার রিচার্দ রিওসের পায়ে লেগে তাদের জালে জড়ায়।
পরে আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গার্নাচো। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা ব্রাজিলিয়ান টিনএজার এস্তেভো উইলিয়ানের হেড ফিরিয়ে দেন বেনফিকা গোলরক্ষক।
প্রথম ম্যাচে চেলসি যাদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছিল, সেই বায়ার্ন মিউনিখ মঙ্গলবার ৫-১ গোলে জিতেছে সাইপ্রাসের দল পাফোসের মাঠে। দারুণ ছন্দে থাকা হ্যারি কেইন করেছেন জোড়া গোল।
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন।
এমআর/টিকে