রংপুরের পীরগাছায় আটজন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে আটজন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে মুঠোফোনে দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রুহুল আমিন। ছাড়া পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গত আগস্টের শুরুতে হঠাৎ করে পীরগাছায় একের পর এক গবাদি পশুর মৃত্যু হতে থাকে। এরপর টনক নড়ে স্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের। পরে রোগের প্রকোপ ও প্রাদুর্ভাব নজরদারি করা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছায় গিয়ে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে আটজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড়, নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে এলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। মানুষের শরীরে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে চামড়ায় ঘা সৃষ্টি হওয়া। এজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগকে গরু-ছাগলের প্রতিষেধক টিকা কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এমকে/এসএন