এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভি বলেছেন, চাইলে ভারতীয় ক্রিকেট দল এসিসি কার্যালয় থেকে এশিয়া কাপ ট্রফি সংগ্রহ করতে পারে। এশিয়া কাপ ফাইনালের পর দিনকয়েক পেরোতেই ভারতীয় দলের এই আচরণকে তিনি `ভদ্রলোকের খেলার রাজনীতিকরণ' বলে অভিহিত করেছেন।
দুবাইয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা নাকি নাকভির কাছে ট্রফি হস্তান্তরের অনুরোধ জানান। তবে নাকভি জবাব দেন, এটি বৈঠকের এজেন্ডায় নেই এবং আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ট্রফি দেওয়া সম্ভব নয়।
এরপরও শুক্লা জোর দিয়ে ট্রফি দেওয়ার দাবি তুললে নাকভি অনড় থাকেন। নাকভি এ সময় বলেন, ‘ভারত যদি ট্রফি নিতে চায়, তবে তাদের অধিনায়ককে এসিসি অফিসে এসে আমার কাছ থেকে সেটা নিতে হবে।’
কেন শিরোপাজয়ী দলকে ট্রফি দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করে নাকভিকে চাপে ফেলেন শুক্লা। তিনি বলেন, ট্রফি এসিসির সম্পত্তি, নাকভির ব্যক্তিগত নয়। এ নিয়ে নাকভি ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় বলে জানান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তবে এত কিছুর পরও ট্রফি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারানোর পর ভারতীয় দল সরাসরি নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোর মধ্য দিয়ে। এই কারণে ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এক ঘণ্টারও বেশি বিলম্বিত হয়, যা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ায়।
বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া জানান, নাকভির রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই ভারতীয় দল ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তিনি আরও বলেন, ট্রফি ও পদক দ্রুত ফেরত দেওয়া হবে বলে তারা আশা করছেন। এ বিষয়ে ভারত নভেম্বর মাসে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে চায়।
পুরস্কার বিতরণীতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা অন্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত পুরস্কার গ্রহণ করেন, অন্যদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আঘা রানার্স-আপ চেক গ্রহণ করেন। ট্রফিটি হঠাৎ করেই মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, এবং ভারতীয় দল একটি ডামি ট্রফি নিয়ে উদযাপন করে।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভারতীয় দলের এই কড়া অবস্থান বজায় থাকে। তারা তিন ম্যাচেই পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলানো এড়িয়ে যায়। এছাড়া ম্যাচ-পূর্ব আচরণের জন্য সূর্যকুমার যাদব ও হারিস রউফকে জরিমানা করা হয়।
এসএস/এসএন