ভারত দেশের পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ করে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) বিকালে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দেশে এখন নির্বাচনের হাওয়া বইছে উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন বানচাল করার জন্য চক্রান্ত করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, নতুন নতুন দাবি তুলে আন্দোলনে না গিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে একসাথে থাকতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। ঠিক এই অবস্থায় ভারত এবং আওয়ামী লীগ মিলে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবে পাহাড়ে এক ধরনের অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে, সেখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদেরকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে ভারত। ভারত চায় বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবেই মাথা উঁচু করতে না পারে। বাংলাদেশকে তাদের করদ রাজ্য বানাতে চায়। এদেশের জনগণ হাসিনার পতনের মধ্যদিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভারত বাংলাদেশকে তাদের করদ রাজ্য বানাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে যথা সময়ে দেশে নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারিতে যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে জনগণ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে, দাবির পার্থক্য হতে পারে। এই মুহূর্তে যদি আমরা নতুন নতুন দাবি দিয়ে আন্দোলন করি তাতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে। আমরা গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ সকল শক্তির কাছে আমরা অনুরোধ রাখতে চাই সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকুন।
রাশেদ বলেন, ভারত কিন্তু চক্রান্ত করছে। হাসিনা কিন্তু দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনের আগে আমরা কি বিভিন্ন দাবি সামনে নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হবো?
তিনি বলেন, আন্দোলন কার বিরুদ্ধে, ড. মুহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে? এই সরকার তো এখনো পুরোপুরি ব্যর্থ হয়নি। সেক্ষেত্রে আমরা সরকারের সমালোচনা করতে পারি কিন্তু সরকারের পতন চাই না। যারা এই মুহূর্তে সরকার ব্যর্থ করার চক্রান্ত করছে সেই শক্তি হলে আওয়ামী শক্তি। তিনি সকলকে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
ইএ/টিএ