দারুণ ফিনিশিংয়ে জোড়া গোল করলেন আর্লিং হলান্ড। তবে জয়ের খুব কাছে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলল ম্যানচেস্টার সিটি। শেষ দিকের গোলে মূল্যবান একটি পয়েন্ট পেল মোনাকো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বুধবার মোনাকোর মাঠে ২-২ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি। জর্ডান টেজে প্রথমবার স্বাগতিকদের সমতায় ফেরানোর পর, শেষ দিকে তাদের ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন এরিক ডায়ার।
দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে সিটি। ১ পয়েন্ট নিয়ে ৩০ নম্বরে মোনাকো।
গোলমেশিন হলান্ডের দারুণ গোলে ১৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। ইয়োশকো ভার্দিওলের উঁচু করে বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বুদ্ধিদ্বীপ্ত শটে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে জালে জড়ান নরওয়ে তারকা।
তিন মিনিট পর চমৎকার এক গোলে সমতায় ফেরে মোনাকো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে উঁচু জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ডাচ ডিফেন্ডার জর্ডান টেজে।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য এই একটি শটই নিতে পারে মোনাকো। বিপরীতে এই সময়ে ৭০ শতাংশের বেশি সময় পজেশন রেখে ১০টি শট নেয় সিটি, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।
বিরতির আগের শেষ প্রচেষ্টায় ৪৪তম মিনিটে দলকে ফের এগিয়ে নেন হলান্ড। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে দারুণ হেডে গোলটি করেন তিনি।
চলতি আসরে দুই ম্যাচে তার গোল হলো তিনটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার মোট গোল ৫২টি, ৫০ ম্যাচে।
বিরতির পর সিটির রক্ষণে বেশ কয়েকবার ভীতি ছড়ায় মোনাকো। ৫৭তম মিনিটে মাঝমাঠে তাদের মিডফিল্ডার মামাদুকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন হাঁটুর ব্যথা থেকে সেরে উঠে সিটি দলে ফেরা রদ্রি।
দুই মিনিট পরই রদ্রিকে তুলে নিকো গন্সালেসকে নামান কোচ গুয়ার্দিওলা।
৭৩তম মিনিটে দুর্ভাগ্যের বাধায় গোল পায়নি সিটি। ডাচ মিডফিল্ডার টিজানি রেইডার্সের শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়। প্রথমার্ধেও তাদের একটি প্রচেষ্টা একইভাবে প্রতিহত হয়, সেবার হতাশ হন ফিল ফোডেন।
ব্যবধান নুন্যতম হলেও জয়ের পথে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল সিটি। কিন্তু শেষদিকে গিয়ে সব এলোমেলো হয়ে যায়।
৮৫তম মিনিটে ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের এরিক ডায়ারকে ফাউল করে বসেন গন্সালেস, অনেকটা বিলম্বের পর ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। নিজেই স্পট কিক নিয়ে সমতা টানেন এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।
বাকি সময়ে গোলের জন্য দুটি শট নিলেও ব্যবধান আর গড়তে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি।
এমআর