সিরিজের প্রথম টেস্টে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই সেশনও টিকলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লোকেশ রাহুলের অপরাজিত ফিফটিতে প্রথম দিনই বড় লিডের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলো ভারত।
আহমেদাবাদ টেস্টের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নিজেদের প্রথম ইনিংমে মাত্র ১৬২ রানে অলআউট হয়েছে উইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন জাস্টিন গ্রিভস। সফরকারীদের মাত্র দেড় সেশনে গুটিয়ে নেওয়ার নায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ আর মোহাম্মদ সিরাজ ৩টি উইকেট নিয়েছেন। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১২১ রানে দিন শেষ করেছে ভারত। ৫৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাহুল।
আহমেদাবাদের লাল মাটির পিচ এবং মেঘলা আকাশের নিচে পেসারদের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। তবু টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয়দের অধিনায়ক রস্টন চেজ। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, তা বোঝা গেল ম্যাচ শুরু হতেই। আগের দিনই সংবাদ সম্মেলনে বাড়তি একজন পেসার খেলানোর কথা বলেছিলেন শুভমান গিল। সে পরিকল্পনায় একাদশে জায়গা হয়নি অক্ষর প্যাটেলের। অনিশ্চিত থাকা বুমরাহকে নিয়ে মাঠে নামে ভারত।
ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা প্রথম উইকেট হারায় চতুর্থ ওভারেই। সিরাজকে খোঁচা দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল। শুরুর জুটি ভাঙে মাত্র ১২ রানে। এরপর পুরো ইনিংসেই ভালো কোনো জুটি গড়তে পারেনি ক্যারিবীয়রা। শাই হোপ-রস্টন চেজ এবং জাস্টিন গ্রিভস-খারি পিয়েরের জুটি কিছুটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। বাকিরা কিছুই করতে পারেননি। ৪৮ বল মোকাবিলা করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করে বুমরাহর বলে বোল্ড হন গ্রিভস।
এছাড়া হোপ ২৬ আর চেজ ২৪ রান করেন। ভারতের হয়ে শুরু থেকে ক্যারিবীয়দের ওপর চড়াও হওয়া সিরাজ প্রথম পাঁচ ব্যাটারের চারজনকেই শিকার করেন। ১৪ ওভার ৩ মেডেন দিয়ে তার খরচ ৪০ রান। সমান ওভার ও মেডেন দিয়ে ৪২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন বুমরাহ। এছাড়া কুলদীপ যাদব ২ আর ১ উইকেট নেন ওয়াসিংটন সুন্দর।
জবাব দিতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল ধীরগতিতে শুরু করেছিলেন। মাঝে বৃষ্টি নেমে খেলা ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল। তারপরে দুই ওপেনারের খেলাও পাল্টে যায়। আগের চেয়ে একটু আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেন তারা। রাহুল নজর দেন বাউন্ডারির দিকে। যশস্বীও চাপে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। তবে আগ্রাসী খেলতে গিয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় জয়সওয়ালকে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটকিপারের হাতে। ৫৪ বলে ৭ চারের মারে ৩৬ রানে থামে তার ইনিংস।
এরপর ক্রিজে নেমে হতাশ করেন সাই সুদর্শনও। ১৯ বলে ৭ রান করে চেজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। শেষদিকে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি রাহুল ও অধিনায়ক গিল। ১১৪ বলে ৩ চারের মারে ৫৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাহুল। ৪২ বলে ১ চারের মারে ১৮ রানে অপরাজিত থেকে রাহুলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন গিল।
আহমেদাবাদের পর দিল্লিতে আরও একটি টেস্ট খেলবে দুদল।
ইএ/টিকে