গাজামুখী মানবিক বহর ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’য় আক্রমণের কারণে ইসরায়েলের সব কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।
ওই বহরে থাকা কয়েকটি জাহাজকে আটকানো এবং দুই কলম্বিয়ান মানবাধিকারকর্মীকে আটক করার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন পেত্রো।
খবর আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ব্যারোন ও তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সির।
পেত্রো বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতিমূলক মানবিক কাজে যুক্ত দুই কলম্বিয়ান নারীকে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে।
তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মানুয়েলা বেদোয়া ও লুনা বাররেতো নামে ওই দুই নারী ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র অংশ ছিলেন এবং তাদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কয়েকটি জাহাজকে ‘নিরাপদে থামানো হয়েছে’ এবং যাত্রীদের ইসরায়েলের এক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বামপন্থী রাজনীতিবিদ পেত্রো গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের লাগাম টানেন। তবে ইসরায়েলি কনসুলেটের একটি সূত্রের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে তখনো চারজন কূটনীতিক নিযুক্ত ছিলেন।
এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় পেত্রো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ’র জন্য অভিযুক্ত করে ইসরায়েলের পুরো কূটনৈতিক দলকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
তিনি ২০২০ সাল থেকে কার্যকর ইসরায়েলের সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তিও বাতিল করেন।
দখলদার নেতানিয়াহুর অন্যতম কড়া সমালোচক কলম্বিয়ার এ নেতা। নেতানিয়াহুকে ‘গণহত্যাকারী’ও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘গণহত্যার সহযোগী’ বলে অভিহিত করেছেন।
গত সপ্তাহে পেত্রো নিউইয়র্কে একটি ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেন, যেখানে তিনি ট্রাম্পকে ‘অমান্য’ করতে মার্কিন সেনাদের প্রতি আহ্বান জানান। ওয়াশিংটন এ মন্তব্যের পর পেত্রোর ভিসা বাতিল করে।
টিকে/