নোয়াখালীকে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণার দাবিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী এবং চাটখিলে পৃথক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা এবং বিকেল ৫টার দিকে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
সোনাইমুড়ী চৌরাস্তা এলাকায় আয়োজিত ব্লকেড কর্মসূচির ফলে নোয়াখালী–কুমিল্লা এবং চৌমুহনী–রামগঞ্জ সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী এ অবরোধে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি’, ‘নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ’ এবং সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ। কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও কমিটির উপজেলা সভাপতি আনিস আহমেদ, পৌর বিএনপির সদস্যসচিব আহসানুল হক, জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন এবং উপজেলা সংগঠক ফজলে রাব্বি।
বক্তারা বলেন, নোয়াখালীকে কুমিল্লা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে, যা স্থানীয় জনগণের সম্মতি ছাড়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা দাবি জানান, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও কুমিল্লা—এই পাঁচ জেলা নিয়ে ‘নোয়াখালী বিভাগ’ গঠনের। অন্য কোনো জেলার নামে বিভাগ হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তারা।
বিকেলে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা পৌর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং ঢাকা–রামগঞ্জ মহাসড়কে আবারও মানববন্ধনে অংশ নেন। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বক্তারা বলেন, প্রশাসনিক সুবিধা, জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক গুরুত্ব বিবেচনায় নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা সময়ের দাবি। এটি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ইএ/টিকে