বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় তানজিদ তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। প্রথম দশ ওভারে এই দুজনে মিলে রান তোলেন ৯৫। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবির মতো বিশ্বমানের স্পিনারদের কোনো পাত্তাই দেয়নি এই জুটি।
দ্বাদশ ওভারে বাংলাদেশের দলীয় ১০৯ রানে তানজিদ-পারভেজের জুটি ভাঙেন ফরিদ আহমেদ। তখন ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছিল আফগানিস্তান। শেষ ৮ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান।
তবে পারভেজের ওই উইকেটই ম্যাচে ফেরায় আফগানদের। কারণ পরের ওভারে রশিদ খান এসে তুলে নেন সাইফ হাসান এবং তানজিদ তামিমের উইকেট। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৭ বলে ৫৪ রান করেন পারভেজ ইমন। সমান ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৭ বলে ৫১ রান করেন তানজিদ।
১৪তম ওভারে নূর আহমেদকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আত্মবিশ্বাসের আভাস দিয়েছিলেন জাকের আলী। তবে পরের ওভারে রশিদের ঘূর্ণি জাদুর মুখে পড়েন তিনিও। এই ওভারে জাকের আলী এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারী, দুজনকেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রশিদ। আফগান স্পিন ট্যাকেল দিতে একটু আগে নামানো তানজিম হোসেন সাকিবকে আউট করেন নূর আহমেদ।
১০৯ রানে শুন্য উইকেট থেকে ১১৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন দিশেহারা বাংলাদেশ, তখনই উইকেটে আসেন রিশাদ। অন্য প্রান্তে নুরুল হাসান সোহান। শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৪ রান। মাত্র ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে তখন আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় আফগানিস্তান আর বিপরীত অবস্থা বাংলাদেশের।
তবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সেখান থেকে ম্যাচ বের করে এনেছেন নুরুল হাসান সোহান এবং রিশাদ। দুজনেই করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৩ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন সোহান। রিশাদের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৪ রান। আফগানিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক রশিদ।
এর আগে টস জিতে আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ে নামলে পাওয়ার প্লের আশেপাশেই ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের হাত দিয়ে ২৫ রান পর উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও ৪০ রানের মধ্যেই তুলে নেয় ৪ উইকেট। এদের মধ্যে সর্বাচ্চ ১৫ রান করেন জাদরান। তানজিম সাকিবের শিকার হওয়া অটলের ব্যাট থেকে আসে ১০।
গুরবাজের ডাকে সাড়া দিয়ে রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির শিকার ডারউইশ রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দলীয় ৪০ রানে আউট হওয়ার সময় মোহাম্মদ ইশাক করেন মাত্র ১। আফগানিস্তান সেই চাপ কাটায় গুরবাজ ও আজমতউল্লাহর ব্যাটে। তবে শক্ত খুঁটি গাড়ার আগেই ওমরজাইকে তানজিমের ক্যাচ বানিয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন রিশাদ, ইশাককেও তিনিই শিকারে পরিণত করেন। ওমরজাই করেন ১৮ রান।
৫ উইকেট তুলে নিলেও বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে ছিলেন বিস্ফোরক ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিনি এদিন আর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ঝলক-টলক দেখাতে পারেননি। যদিও করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান। ৪০ রান করার পর সাকিবের ওভারে কাট করতে গিয়ে গালি অঞ্চলে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
তাসকিনকে তিন ছক্কাসহ মোট ৪টি ছক্কা হাঁকানো নবি ২৫ বলে করেন ৩৮ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে বোকা বনে যাওয়া রশিদ খান ৪ রান করেই ফিরে যান। শরাফুদ্দিন আশরাফের ১১ বলে ১৬ রানে ভর করে দেড়শর ঘর পার করে তারা।
ইউটি/টিএ