গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি মাত্র নৌযান ‘দ্য ম্যারিনেট’ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর আটক এড়িয়ে আছে। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেটে ছয়জন আরোহী রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক হলেও ম্যারিনেট এখনও যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না উল্লেখ করে ওই পোস্টে আরও বলা হয়, ম্যারিনেট শুধু একটি নৌকা নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তার প্রতীক।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, গাজার আঞ্চলিক জলসীমার থেকে প্রায় শ খানেক কিলোমিটার দূরে রয়েছে ম্যারিনেট। এটি ঘণ্টায় প্রায় চার কিলোমিটার বেগে আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে এখনও বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখতে পারছে ম্যারিনেট।
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, গাজা একা নয়। ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের ব্যাপক নৃশংসতার মধ্যে ত্রাণবাহী এই নৌবহর আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। গত দুই বছরে উপত্যকাটিতে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের অবরোধে সেখানে দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্র সংকট। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার বাসিন্দারা প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২৬ শতাংশ খাবার পাচ্ছেন।
টিজে/এসএন