ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে তাকাতে হবে : সোহান

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। এমন ম্যাচ জয়ের পরেও আলোচনায় বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং। ১৫১ রানের জবাবে ১০৯ রানের ওপেনিং জুটিতে টাইগারদের জয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল। তবে মাঝে ব্যাটিং কলাপ্সে ১১৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে জাকের আলীর দল।

সেই অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধার করেন রিশাদ হোসেন এবং নুরুল হাসান সোহান। মাঝের ওভারে ভুতুড়ে ব্যাটিং আগেও হয়েছে বহুবার। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে মিডল অর্ডারে দ্রুত উন্নতির তাগিদ দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। ১৩ বলে ২৩ রানের ক্যামিও খেলে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সোহান বলেন, ‘মাঝে ৪-৫ ওভারে আমরা অনেক উইকেট হারিয়েছি। ক্রিকেট টিম গেম। টিম হিসেবে আমাদের উন্নতি করতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে তাকাতে হবে। উইকেট অনেক ভালো ছিল। তামিম, ইমন (তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন) ভালো শুরু করেছে। মাঝে কলাপ্স করেছি।’



সোহান আরও বলেন, ‘সময়ের সাথে সাথে শারজাহর উইকেট ভালো হয়। শুরুতে ৫-৬ ওভারে কিছু ময়েশ্চার ছিল পরে উইকেট খুব ভালোই ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট রানের খেলা। আমার কাছে মনে হয় যেখানে ফেইল করেছি এখান থেকে কীভাবে উন্নতি করা যায় এটা দেখতে হবে। এই সমস্যাটা নতুন না, যেহেতু অনেক দিন ধরেই হচ্ছে। এখানে সময় এসেছে উন্নতি করার।’

ব্যাটারদের ভঙ্গুর দশা নিয়ে সোহান বলেন, ‘দেখেন এশিয়া কাপে ভাল সুযোগ ছিল, মিস করেছি। সেখান থেকে যে ভুলগুলো হয় সেগুলো যতটা কমানো যায় অই চেষ্টা করি। এশিয়া কাপের পর প্রথম ম্যাচ, জেতা জরুরি ছিল। একটা সময় আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি। মাঝে হয়ত কিছু কলাপ্স হয়েছে। তবে আশা করি পরের ম্যাচে ভালোভাবে এখানে উন্নতি করতে পারব।’

মাইন্ডসেটেও উন্নতির সুযোগ দেখছেন সোহান, ‘আমরা এরকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাইন্ডসেটের জন্য ফেইল করি অনেক সময়। শুরু ভালো হয়েছিল। স্পিনে যেহেতু তারা বিশ্বমানের, আমাদের ভেতরেই একটু ডাউট শুরু হয়েছিল। আমার মনে হয় এখানে স্কিলে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে অনেক। আফগানিস্তানের বিশ্বমানের স্পিন বোলার আছে। তাদের বিপক্ষে কীভাবে হোমওয়ার্কটা করব এটা জরুরি।’

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 05, 2025
img
গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথ আরো অনিশ্চিত হচ্ছে : জিল্লুর রহমান Oct 05, 2025
img
খুব শিগগিরই জমা দেয়া হবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন: আলী রীয়াজ Oct 05, 2025
img
অনেক উপদেষ্টা আখের গুছিয়েছেন, সেফ এক্সিটের বিষয়ে ভাবছেন : নাহিদ ইসলাম Oct 05, 2025
img
ঢাকায় এলেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত Oct 05, 2025
img
পদচিহ্ন অনুসরণ না করলে জনগণই আপনাদের রাস্তায় নামিয়ে আনবে: অর্থ উপদেষ্টা Oct 05, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু Oct 05, 2025
img
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করতে হবে : প্রিন্স Oct 05, 2025
img
জনগণের মতামত ছাড়াই হয়েছে রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট: পরিবেশ উপদেষ্টা Oct 05, 2025
img
১৮ টাকা কাবিন, বিয়ের পর অভিনেত্রীর জীবনে চমকপ্রদ মোড়! Oct 05, 2025
img
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে গোয়েন লুইসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক Oct 05, 2025
img
এবার আর সংযম দেখাবো না: পাকিস্তানের সেনাবাহিনী Oct 05, 2025
img
সন্ধ্যার মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের সম্ভাবনা Oct 05, 2025
img
গুলতেকিনের পর হুমায়ূনকে নিয়ে নতুন পোস্ট শাওনের Oct 05, 2025
img
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে ভারতের ঐতিহ্যবাহী বেনারসি শাড়ির ব্যবসায় ধস Oct 05, 2025
img
ওয়ানডে অধিনায়ক হয়ে নবসূচনা শুভমান গিলের, নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ Oct 05, 2025
img
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে খুলনায় ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস Oct 05, 2025
img
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 05, 2025
img
সিটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন সাভিনিয়োর, আরও দীর্ঘ হচ্ছে পথচলা Oct 05, 2025
img
শিকাগোতে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প Oct 05, 2025