বাংলাদেশ জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাকের আলীকে ফিনিশার হিসেবেই ধরা হয়। অতীতে নিজের এই গুণের প্রমাণও দিয়েছিলেন তিনি। তবে বিগত কয়েক ম্যাচ ধরে তার ব্যাট কথা বলছিল না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে একজন ফিনিশারের সাধারণ বৈশিষ্ট্য, ছয় মারতেও যেন ভুলে গিয়েছিলেন তিনি।
তবে দরকারি সময়েই ব্যাটে রান পেয়েছেন জাকের আলী। আফগানিস্তানের ১৪৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ২৪ রানের মধ্যে হারায়। এরপর শামীম হোসেনের সঙ্গে জাকেরের ৫৬ রানের জুটিই বাংলাদেশকে জয়ের পথ থেকে বিচ্যুত হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ৫ বল আর ২ উইকেট হাতে রেখে জয়ও পেয়েছে টাইগাররা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ বলে ৩৩ রান করেছেন জাকের। এই ইনিংসেই ছক্কার খরা ঘুচিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে ৭ ইনিংস আর ৮৬ বল পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা মেরেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সবমিলিয়ে কাল শারজায় ছক্কা মেরেছেন দুটি জাকের।
বাংলাদেশের ইনিংসের অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নবীর দ্বিতীয় বলে প্রথম ছক্কা মারেন জাকের। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অন বাউন্ডারির ওপর দিয়ে বড় ছক্কা মারেন তিনি। এর আগে এই ব্যাটার সর্বশেষ ছক্কা মেরেছেন ৩ সেপ্টেম্বর সিলেটে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। বোলার ছিলেন কাইল ক্লেইন।
এরপর এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ মিলিয়ে টানা ৭ ইনিংসে কোনো ছক্কা মারতে পারেননি জাকের। শুধু বলের হিসাব করলে টানা ৮৬ বল ছক্কাবিহীন ছিলেন তিনি। যদিও বেশির ভাগ সময়ই ব্যাট করেছেন ইনিংসের দশম ওভারের পরে।
ছক্কার দীর্ঘ খরা কাটানোর পর আরেকটি মারতে দেরি করেননি জাকের। পরের ওভারেই আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জাকেরের ছক্কা এখন ৪০টি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা ষষ্ঠ। ৪০ ছক্কা আছে তানজিদেরও, তবে ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি (৩৮ ইনিংস)। জাকের খেলেছেন ৩৯ ইনিংস।
এসএস/টিএ