ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তিউনিশিয়ায় নোঙর করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার দুটি নৌকায় ড্রোন হামলার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন। মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী একটি সাবমেরিন থেকে ড্রোন উড়িয়ে দাহ্য পদার্থ ফেলে দেয়। এতে তিউনিশিয়ার সিদি বু সাঈদ বন্দরের বাইরে অবস্থানরত নৌকাগুলোতে আগুন লাগে।
এসব হামলা ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর পৃথক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চালানো হয়, যেখানে একটি পর্তুগিজ এবং একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌকা লক্ষ্যবস্তু ছিল। এতে কোনো প্রাণহানি বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও যুদ্ধবিধি অনুসারে বেসামরিক জনগণ বা বেসামরিক স্থাপনায় দাহ্য অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বা নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
এদিকে গাজার জলসীমার কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই একটি ছাড়া সব নৌযান আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে। গত বুধবার রাতে প্রথমে ১৩টি নৌযান আটকায় ইসরায়েলের নৌবাহিনী। এর পরও বাকি ৩০টি নৌযান গাজার উদ্দেশে এগিয়ে যাচ্ছিল।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একে একে ২৯টি নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌ সেনারা। সর্বশেষ নৌযানটিকে আটক করা হয়েছে শুক্রবার সকালে। এ ছাড়া গাজা ফ্লোটিলায় ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল।
পিএ/টিএ