আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন ক্লাব সংগঠন ও কাউন্সিলররা। তবে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছেন তারা। আর এই দাবি না মানলে দেশের ক্রিকেট বয়কট করার হুমকি দিয়েছেন ক্লাব মালিকরা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবাদমূলক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ক্লাব সংগঠকরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের নাম প্রহসন কে নিয়ে যত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পৃথিবীর বুকে বিতর্কিত করেছে। তাই ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচন হওয়ার আগেই নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে দেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
নির্বাচনকে গ্রহণ যোগ্য করার জন্য তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন ক্লাব সংগঠকরা।
সেগুলো হলো:
১. বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ বাড়িয়ে একটি সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
২. একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
৩. বর্তমান তফসিল ও নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করা যেতে পারে।
এই তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আর আগামীকাল ৫ অক্টোবরের মধ্যে একটি দাবি না মানলে এবং দেশের কোনো ধরণের ক্রিকেটে ক্লাবগুলো আর অংশ নেবে না বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।
টিজে/টিকে