চলতি মাসেই ওয়েলসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও লাটভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সে দুই ম্যাচের জন্য বেলিংহ্যামকে দলে রাখেননি ইংলিশ কোচ টমাস টুখেল। সেইসঙ্গে দলে জায়গা হয়নি ফিল ফোডেন ও জ্যাক গ্রিলিশেরও।
দীর্ঘদিন ধরে কাঁধের সমস্যায় ভুগছিলেন বেলিংহ্যাম। মৌসুম শুরুর আগে অস্ত্রোপচার করান তিনি। তাই মৌসুম শুরুর পর বেশ কিছু দিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেছেন, রিয়ালের হয়ে ম্যাচও খেলেছেন। তবে ইংল্যান্ড কোচ টুখেলের মতে, ফিটনেস ও পারফরম্যান্সে এখনও নিজের সেরা অবস্থায় ফিরতে পারেননি বেলিংহ্যাম।
‘অবশ্যই সে স্পোশাল এক ফুটবলার। স্পেশাল ফুটবলারদের জন্য সবসময়ই স্পেশাল নিয়ম ও ব্যবস্থাও থাকতে পারে। সেখানে সমস্যা নেই। তবে এই ক্যাম্পের জন্য আমরা আগের দলকে ধরে রাখার সোজসুজি সিদ্ধান্তই নিয়েছি। বাড়তি কিছু ভাবতে চাইনি।’
টুখেল আরও বলেন, ‘এর বাইরেও আরেকটি ব্যাপার আছে। রিয়াল মাদ্রিদে সে এখনও পুরোপুরি ছন্দ ফিরে পাননি। দলে ফিরেছেন বটে, তবে এখনও পর্যন্ত পুরো একটি ম্যাচ মাঠে থাকেনি। শুরুর একাদশে ছিল মোটে একবার।’
বেলিংহ্যামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা আছে কি না বা সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে কি না, এমন প্রশ্নও করা হয়েছিল টুখেলকে। গত জুনে সেনেগালের বিপক্ষে হারের পর ওয়াটার কুলারে লাথি মেরেছিলেন এই মিডফিল্ডার। সেই ঘটনায় টুখেলের মায়ের মন্তব্য ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার এক পর্যায়ে ক্ষমা চান ইংল্যান্ড কোচ।
ফোডেন ও গ্রিলিশের সঙ্গে কোচের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তো নিয়মিতই উঠছে। তবে সব উড়িয়ে দিয়ে টুখেল বললেন, বিকল্প ফুটবলার বেশি তৈরি রাখতেই তিনি অনেককে পরখ করে দেখছেন।
‘নাহ, কারও সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই আমার। ফিল ও আমার মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই, জ্যাকের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। ওরা সবাই স্পেশাল ফুটবলার। ফিল ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ভালো প্রভাব রাখতে শুরু করেছে, জ্যাক তার সেরা ছন্দের কাছাকাছি আছে।’
টুখেল বলেন, ‘জুডকে পেলে আমাদের দল কি আরও শক্তিশালী? অবশ্যই! সে কি মাঝমাঠে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন? নিশ্চিতভাবেই। তবে এটি দলীয় খেলা। আমাদেরকে নানা কিছুর সমাধান খুঁজতে হয়। গত ক্যাম্পে সেই সমাধান আমরা পেয়েছি। প্রভাববিস্তারি ফুটবলারদের চোট সমস্যা তো যে কোনো সময়ই হতে পারে। একজনের ওপর নির্ভর করা কখনোই ভালো কিছু নয়।’
ইএ/টিকে