নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন সংস্থা (আইএমও) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ডে প্যারালাল ইভেন্ট-২০২৫’-এর প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, কূটনীতিক, নৌপরিবহন খাতের বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা অংশগ্রহণ করেন। আগামী বছর অনুষ্ঠানটি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত হবে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ‘টেকসই সমুদ্রের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন কৌশল ও উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে এ প্রক্রিয়ায় আরো সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ড. সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা, নৌপরিবহন খাতে দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্যানেল ও বৈঠকের পাশাপাশি উপদেষ্টা অন্যান্য দেশের প্রতিনিধি ও কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতের অর্জন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে বাংলাদেশের পক্ষে সদস্য দেশগুলোর সমর্থন কামনা করেন।
এ ধরনের আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে নৌপরিবহন খাতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে এবং আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে বাংলাদেশের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এবি/টিকে