জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের শহর-বন্দরে, গ্রাম-নগরে এখনো বিরামহীনভাবে চাঁদাবাজি চলছে। একই সঙ্গে চলছে মামলা-বাণিজ্য। প্রতিদিন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত লাশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সব মানুষের মাঝে অস্থিরতা। এর মধ্যে কীভাবে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব, আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির প্রয়াত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। খেটে খাওয়া মানুষ আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ অবস্থার মধ্যে সরকার যে নির্বাচনের কথা বলছে, তা আদৌ কতটুকু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজির হাত থেকে ব্যবসায়ীরা রেহাই পাচ্ছেন না। এখনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, জমিজমা দখল হচ্ছে। হাটবাজার দখল হচ্ছে।
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এ সময় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাপার এই নেতা।
আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। ’৯০-এর পরে একটি ছাড়া আমরা সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে সরকারে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই আগামী নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি জোট করে নির্বাচন করবে। কাদের সঙ্গে জোট হবে, সে ব্যাপারে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে নির্বাচনের আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা প্রমুখ।
টিজে/টিকে