ভারতের সামরিক কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জবাবে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শনিবার (৪ অক্টোবর) দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, আইএসপিআর সতর্ক করেছে যে, ‘ভারতীয় কর্মকর্তাদের এসব বক্তব্য শুধু দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির পরিবেশকেই বিঘ্নিত করবে না বরং নতুন করে ‘অযৌক্তিক আগ্রাসন ও সংঘাতের’ আশঙ্কা তৈরি করবে।’
বিবৃতিটি আসে ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান অমর প্রীত সিংয়ের এক মন্তব্যের পর। তিনি দাবি করেছিলেন, গত মে মাসের সংঘাতে ভারত পাকিস্তানের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ ভূপাতিত করেছে। তবে তার এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই দাবি ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। আইএসপিআর বলেছে, ভারত দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে শিকার হিসেবে উপস্থাপন করছে অথচ বাস্তবে তারাই দক্ষিণ এশিয়া ও এর বাইরেও সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে উসকে দিচ্ছে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারতের প্রকৃত চেহারা বুঝে ফেলেছে।’
বিবৃতিতে আরো কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়, যদি ভারত পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার কোনো চিন্তা করে, তবে ‘ভারতের মানচিত্রও মুছে যাবে’।
আইএসপিআর স্পষ্ট করে জানায়, নতুন কোনো যুদ্ধ বা সংঘাত শুরু হলে পাকিস্তান এক বিন্দুও ছাড় দেবে না। আর এর পরিণতি হবে ‘ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ’।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ভারত অভিযোগ করে, হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে তবে ইসলামাবাদ তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে।
এরপর ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং পাকিস্তান প্রতিক্রিয়ায় শুরু করে ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’। সংঘাত বেড়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
সূত্র : জিও নিউজ
ইউটি/টিএ