এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতি করে। কিন্তু উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। ভালো কিছু করতে হলে যারা ভালো কিছু করতে চায়, তাদের সমর্থন করতে হবে। তাদের ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনীতির গতানুগতিক ধারা পাল্টাতে চায়। গণ-অভ্যুত্থানকে শুধু ক্ষমতার হাতবদল নয়, একে ইতিবাচক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে রাজনীতি ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনতে চায় বিএনপি। এ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। গ্যালারিতে বসে রাজনীতির খেলা দেখলে চলবে না।
গ্যালারি থেকে মাঠে নেমে এসে ভালো খেলোয়াড় হয়ে রাষ্ট্রকে পাল্টে দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশপ্রেম বিএনপির রাজনীতির চাবিকাঠি, জনকল্যাণ বিএনপির ব্রত। আগামী নির্বাচনে জনগণের রায়ে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এককভাবে নয়, আন্দোলনের সাথি অন্যান্য দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে সরকার কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। প্রান্তিক কৃষকদের ‘ফার্মার্স কার্ড’-এর মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন খরচ, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় এবং ঝুঁকি বিবেচনায় শস্য, পশু, মৎস্য এবং পোলট্রি বীমা চালু করবে।
একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ কার্যকর পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে। গ্রামীণ হাট-বাজার আধুনিকায়ন করা হবে। গরিব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ করা হবে।
তিনি বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পল্লী রেশনিংয়ের আওতায় আনা হবে। প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি বেকারের নতুন কর্মসংস্থান করা হবে। শিক্ষিত বেকারদের এক বছরের জন্য বেকারভাতা ও অন্যান্য বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিটি উপজেলায় সুষমভাবে কলকারখানা স্থাপন করে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করা হবে। জনগণকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ধানের শীষের আগামী সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কায়েম করবে।
ময়মনসিংহ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফান আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এখলাস উদ্দিন খান, কুতিকুড়া কুরুয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেক ইব্রাহিম খান, ধারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক আসাদুজ্জামান আকন্দ, কৈচাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোজাফফর ইসলাম রাঙ্গা, কুতিকুরা করুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আলহাজ আব্দুল হালিম, শামসুল হুদা, বাবু গোপাল দেবনাথ, হালুয়াঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন পাপন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কেএন/টিকে