দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য জানান।এদিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির হন গয়েশ্বর। তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এস. এম. মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরানীগঞ্জে পিতার জমিতে তার বাড়ি নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক ওই বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা তার গোপন করা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।

পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা নিয়েছেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা।

মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এস. এম. মফিদুল ইসলাম। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিগত সরকারের দূর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা Oct 05, 2025
img
বছরে চার ছবি, নতুন রেকর্ডের পথে ধানুশ Oct 05, 2025
img
ছুটি শেষে চাকসু প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর ক্যাম্পাস Oct 05, 2025
img
আওয়ামী লীগ কি ভারতে গিয়ে কালো জাদু শিখে ফেলল- প্রশ্ন রনির Oct 05, 2025
img
পরিচালনায় আবারও ফিরে আসছেন কঙ্কনা সেন শর্মা Oct 05, 2025
img
মেয়ে ত্রিশলা দত্তের পা ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত! Oct 05, 2025
img
সেনা প্রত্যাহারে রাজি নেতানিয়াহুর দেশ, জানালেন ট্রাম্প Oct 05, 2025
img
দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন নির্বাচন : আমীর খসরু Oct 05, 2025
img
ধোনির নেতৃত্বে না খেলার আক্ষেপ সূর্যকুমার যাদবের Oct 05, 2025
img
বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাসে রাষ্ট্রপতির ছবি পুনঃস্থাপন করতে আইনি নোটিশ Oct 05, 2025
img
যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে মিসরে যাচ্ছেন মার্কিন দূতরা Oct 05, 2025
img
দার্জিলিংয়ে টানা বৃষ্টিতে ভূমিধস, ১৭ জনের প্রাণহানি Oct 05, 2025
img
‘গুরু’ আর কৃষক: এক ফ্রেমে দুই জীবনের মিলন Oct 05, 2025
img
শিগগিরই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হবে: চিফ প্রসিকিউটর Oct 05, 2025
img
১৫টি ক্লাব বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, নেই বাঁধা Oct 05, 2025
img
জুলাই সনদকে গ্রহণযোগ্য দলিলে পরিণত করার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার Oct 05, 2025
img
আমি জানি আপনারা এটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন: রাশমিকা Oct 05, 2025
img
ভরা মজলিসে স্ত্রীর গোপন কথা ফাঁস করলেন শোয়েব মালিক Oct 05, 2025
img
বাবা-মাকে নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন নুহাশ Oct 05, 2025
img
আদালতের কাজ হচ্ছে সংবিধান সমুন্নত রাখা : সারোয়ার তুষার Oct 05, 2025