ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, রোববার ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সোমবার জাভা দ্বীপে অবস্থিত ওই বহুতল ভবনের একাংশ হঠাৎ ধসে পড়ে। শিক্ষার্থীরা দুপুরে জোহরের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার (বাসারনাস)র অভিযানবিষয়ক পরিচালক ইউধি ব্রামান্তিও বলেছেন, রোববার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নতুন করে আরও ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট ১৪৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৫ জন মৃত এবং ১০৪ জন জীবিত। এর আগে নিহতের সংখ্যা ৩৭ জন বলে জানানো হয়েছিল। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনের দেহাবশেষও রয়েছে।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান নানাং সিগিতও মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫ জন বলে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ইউধি বলেছিলেন, স্কুল ভবন ধসের ঘটনায় অন্তত ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
জাভা দ্বীপের ওই ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলটির ধ্বংসস্তূপে টানা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ইউধি বলেন, ‘‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’
তিনি বলেন, সব ভুক্তভোগী উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার অভিযান চলবে। মঙ্গলবারের মধ্যে উদ্ধার অভিযান শেষ করা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা বুদি ইরাওয়ান রোববার সকালের দিকে বলেছিলেন, উদ্ধার অভিযান প্রায় ‘‘৬০ শতাংশ’’ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি, আগামীকাল সোমবার ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। ধ্বংসস্তূপের নিচে কতজন চাপা পড়েছেন, তখন হয়তো জানা যাবে।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতোমধ্যে দেশটির কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে স্কুলটি তৈরি করায় এই ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।
সূত্র: এএফপি।
এমকে/টিকে