৯ অক্টোবর বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ। সেই ম্যাচ খেলতে আগামীকাল সকাল এগারোটায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরির।
কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম আসবেন পরশু রাতে। হংকং ম্যাচের আগে হামজা তিন দিন আর সামিত জামালদের সঙ্গে এক দিন অনুশীলনের সুযোগ পাবেন।
আজ বিকেলে গণমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন বাংলাদেশের স্পেনিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। কানাডা থেকে ঢাকায় এসে মাত্র এক সেশন পাবেন সামিত। এটা তার জন্য খানিকটা কঠিনই মনে করছেন কোচ, 'সামিতের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু কঠিন। সে পরশু রাতে আসবে, শুধু ম্যাচের আগের দিনই অনুশীলন করতে পারবে। তাই তার অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' হামজা অবশ্য দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তিন সেশন পাচ্ছেন, 'হামজা কাল সকালেই আসছে, সব ঠিক থাকলে তিনটি অনুশীলন সেশন করবে আমাদের সঙ্গে।'
হামজা মিডফিল্ডে ডিফেন্সিভ ও অফেন্সিভ দুই ভূমিকাতেই খেলতে পারেন। হংকং ম্যাচে হামজার ভূমিকা নিয়ে ক্যাবরেরা বলেন, 'সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তেও ভালো কিছু সুযোগ ছিল। তাই আমি মনে করি, সে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে যেমন কাজ করেছে, আক্রমণাত্মক ভূমিকাতেও সমানভাবে সফল হয়েছে। ডিফেন্সিভ ও অফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে এই মিশ্র ভূমিকায় স্বচ্ছন্দ্যে খেলতে পরেছে বলে আমার মনে হয়।'
হামজা-সামিতের অপেক্ষায় রয়েছেন জামাল-রাকিবরাও। আজ রাকিব তাদের সম্পর্কে বলেছেন, 'আমাদের যেমন ভিডিও সেশন ক্লাস হচ্ছে, মাঠে তেমনভাবে অনুশীলন হচ্ছে। সামনে হামজা ও সামিত আসছে। ওরা এলে দলগতভাবে অনুশীলন করতে পারব। তখন আরও ভালো কিছু হবে।'
ঋতুপর্ণারা এশিয়া কাপে খেলছেন। জামাল-হামজারা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। হংকং ম্যাচে হারলে এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন অনেকটাই শেষ হবে। সেই স্বপ্ন বজায় রাখতে হংকং ম্যাচে তিন পয়েন্টের প্রত্যাশা প্রত্যেক ফুটবলারের। এ প্রসঙ্গে কোচ বলেন, 'আমরা সবার কাছেই বড় পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করি। এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ। নিজেদের মাঠে খেলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার, আবার মূলপর্বে খেলার দৌড়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার। যারা এখন দলে আছে, তাদের সবার কাছে এটাই মূল লক্ষ্য, তেমনি হামজা ও সামিতের জন্যও।'
হংকং র্যাংনকিংয়ে এগিয়ে। আবার তাদের দলীয় শক্তিও বাংলাদেশরে চেয়ে বেশি। এরপরও নিজের দল নিয়ে আত্নবিশ্বাসী কোচ, 'আমাদের বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি। আমরা পুরোপুরি আশাবাদী যে তিন পয়েন্ট নিতে পারব। হংকং খুবই শক্তিশালী দল, শারীরিকভাবে কঠিন প্রতিপক্ষ। অবশ্যই তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগব। তবে আমাদের সঠিক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। একে অন্যের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যদি আমরা একতাবদ্ধ থাকি, আগের মতো পারফর্ম করতে পারি, আমাদের বিশ্বাস আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।'
পিএ/টিকে