অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, নাটক, মডেলিং ও সিনেমায় একের পর এক চমক দিয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। কান চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। জুলাই আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজপথেও সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী।
সাহসী ও স্পষ্টভাষী হিসেবে বাঁধন পরিচিত। প্রায় সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান বিষয় উঠে তার লেখায়। অনেক সময় তার ফেসবুক পোস্ট নিয়েও আলোচনা হয়।
বাঁধন রোববার (৫ অক্টোবর) ‘সমাজ আর একজন অস্বস্তিকর নারী’ শিরোনামে একটি পোস্ট করেছেন নিজের ব্যর্থতার গল্প, তবে সেই ব্যর্থতাতেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন নিজস্ব সাফল্যের সংজ্ঞা।
বাঁধন লিখেছেন, আমি এমন এক মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখে—যে অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেয়। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। আমি সেই মানুষটা হতে পারিনি, যাকে সবাই দেখতে চেয়েছিল। চেষ্টা করেছিলাম পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, সমাজের বানানো ‘নারী’ হতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। আর সেই ব্যর্থতার জন্য আজ নিজেকেই ধন্যবাদ জানাই।
নিজের এই ‘ব্যর্থতার’ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, আমি অন্য কারও স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ অনেকের সান্ত্বনার সীমা ভেঙে দেয়। আমি সহজ মানুষ নই, কিন্তু নির্মমও নই। আমি কাউকে আঘাত দিই না, অসম্মানও করি না যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।
আগামীতে ৪২ বছরে পা দেবেন বাঁধন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে তিনি খুঁজে পেয়েছেন এক নতুন শান্তি, এক নতুন নিজেকে। তার ভাষায়, চল্লিশের পর এসে আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ এতে কষ্ট পেলে, উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক আমার কিছু আসে যায় না। কারণ, যাদের আমি অস্বস্তিতে ফেলি, তাদের পাশাপাশি আছে অনেকেই, যারা আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি নিজেকে ভালোবাসি।
টিজে/টিকে