আগামী বিহার নির্বাচনে বোরকা পরিহিত নারী ভোটারদের যাচাই করার দাবি করেছেন বিহার বিজেপি সভাপতি দিলীপ জাইসওয়াল। তার এই মন্তব্য বিশাল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বোরকা পরা ভোটারদের নিয়ে জয়সওয়ালের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল আরজেডি। দলের সাংসদ অভয় কুশওয়াহা বলেন, এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষের রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলেছে ।
শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকে বোরক পরিহিত নারী ভোটারদের যাচাই করার প্রস্তাব দেন বিজেপি সভাপতি জাইসওয়া। তিনি বলেন, ‘সব ভোটারের মুখ যাচাই করা জরুরি, বিশেষ করে বোরকা পরা নারীদের ক্ষেত্রে। যাতে শুধুমাত্র প্রকৃত ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
বোরকা পরিহিত ভোটারদের বিষয়ে জাইসওয়ালের মন্তব্যের পর বিরোধী দল আরজেডির তরফ থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়া এসেছে। দলটির এমপি অভয় কুশওয়া বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বিশেষ শক্তিশালী সংশোধন তালিকা সম্প্রতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নতুন ইপিক কার্ডসমূহ ছবিসহ সকল ভোটারের জন্য ইস্যু করা হবে।
ভোটারের পরিচয় প্রমাণ করা কোনো বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু বিজেপি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চাইছে।’
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিংহা তার দলের সহকর্মী জাইসওয়ালের দাবি সমর্থন করেছেন এবং একে হিন্দু নারীদের ঘুঙ্গাট (ঘোমটা) পরার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী, সবার জন্য আইন এক হওয়া উচিত। একজন নারীর বোরকা পরা বা না পরার বিষয় এখানে মুখ্য নয়।
নির্বাচন কমিশন যদি নিয়ম নির্ধারণ করে নারীদের ভোটারের মুখ যাচাই করার, তবে এটি সবার জন্য সমান হতে হবে। শুধু ঘোমটা পরা নারীদের মুখ দেখা যাবে, কিন্তু বুরকা পরা নারীদের মুখ দেখা যাবে না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। নারী কর্মকর্তারা ভোটারের মুখ যাচাই করবেন। এর মধ্যে কী সমস্যা?’
সিংহা বলেন, নির্বাচনী কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। বিজেপি নেতার মন্তব্য তার মিত্র দল জেডিইউর সমর্থন পায়নি। জেডিইউ নেতা খালিদ আনওয়ার বলেছেন, তার দল এই ধরনের বক্তব্যে ‘বিরক্ত’। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী কমিশনকে এর জবাব দিতে হবে। আমাদের নেতা নীতীশ কুমার এমন রাজনীতির পক্ষে নয়। তিনি সবসময় নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন।’
সূত্র- এনডিটিভি
এবি/টিকে