আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৫০টি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন বলেন, “আমাদের যে সার্ভেগুলো করেছি তাতে দেখেছি যে ১৫০ আসনে এনসিপির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কথা বলতে সব জেলার সমন্বয়কারীদের ঢাকায় ডেকেছিলাম।আমরা তাদের মাঠে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কথা বলেছি।”
তিনি বলেন, “আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। আমরা বলেছিলাম ৩০০ আসনে জয়ের জন্য আমরা চেষ্টা চালাব। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় আমরা বলেছিলাম যে আমাদের ১৫০টি আসনে জয়ী হওয়ার সিচুয়েশন আছে। কিন্তু আমরা ৩০০ আসনে জয়ের জন্যই লড়ব।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপি ৫০-১০০ আসনের বেশি যাবে না। আপনারা বাস্তব সিনারিও দেখতে পাচ্ছেন, কোন দিকে তলানিতে যাচ্ছে যে।”
“আমরা দেখেছি প্রত্যেকটা প্রজেকশনে এনসিপি ১৫০টি আসন পেতে যাচ্ছে।”
বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা দুটি দলের কর্মী-সমর্থক-নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানাব, আপনারা জাতির দিকে তাকিয়ে হলেও ভণ্ডামি বাদ দেন। নির্বাচনের মধ্যে এসে জনগণকে আপনারা মুক্তি দেন।”
“আমরা এই দুটি দলকে আহ্বান জানাব, আপনারা নির্বাচনের ক্ষেত্রে জুলাই সনদে দ্রুত সাইন করুন। এটাকে এক্সিকিউশন লিগ্যাল ওয়েতে নিয়ে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করে জনগণকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিন,” যোগ করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে এনসিপি একীভূত হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “দলের নাম এনসিপি থাকবে। এনসিপির প্রতীক থাকবে। অন্য দলের নাম-মার্কা ডিজলভ হবে এবং এনসিপির আন্ডারে আরো অনেকগুলো দল আসছে। এটা আমরা বড় ধরনের একটা পার্টি করতে যাচ্ছি।”
সংস্কার যদি না হয় তাহলে ফেব্রুয়ারিতে এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, “আমি বলেছিলাম ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে কি না, কনফিউশন আছে। সরকার অনেক ইনসিস্ট করছে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন করার জন্য সবাইকে। কিন্তু আমাদের জুলাই সনদের লিগাল পার্সপেক্টিভের এখনো কোনো সলিউশন হয়নি।”
ইউটি/টিকে