মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পূর্ণ হলো। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তাকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ হত্যাকাণ্ড দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সমালোচনা ও বিক্ষোভের সৃষ্টি করে।
এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল বিভাগের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন। আবরারের পরিবার আশা করছে, হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকবে। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দেখতে আগ্রহী।
প্রতিবাদমূলক ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন, ৭ অক্টোবর, আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ প্রমুখ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. আকাশ হোসেন প্রমুখ।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আসামিরা কারাগার আপিল এবং ফৌজদারি আপিল করে।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখে। আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু জানিয়েছেন, তারা আপিল বিভাগে ন্যায়বিচারের আশায় রয়েছেন।
কেএন/টিকে