নতুন সংবিধান চূড়ান্ত হলেই পদত্যাগ করতে হবে বোর্ড কর্তাদের!

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি চার সপ্তাহের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত করতে বলা হয়েছে। নতুন এই সংবিধানের একটি নিয়ম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্তারা। যা বাস্তবায়িত হলে আগামী কয়েকদিনের মাঝে অনেককেই পদ ছাড়তে হতে পারে।

আগামী রোববার ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা রয়েছে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান কার্যকর শুরু হবে। যা তৈরি করেছেন সাবেক বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও। সুপ্রিম কোর্ট কিছু নিয়মে বদল এনেছে। তারই একটি নিয়ম নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা।

ধারা ২৫.৩ (সি)-এ বলা হয়েছে, যদি ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে কেউ নির্বাচিত হন এবং একই সঙ্গে কোনো রাজ্য সংস্থার পদেও থাকেন, তাহলে যেকোনো একটি পদ তাকে ছাড়তে হবে। অন্যথায় আপনাআপনি রাজ্য সংস্থায় তার জায়গা ফাঁকা হয়ে যাবে। নতুন সংবিধান চালু হলে ফেডারেশনের কর্মসমিতির সদস্যরা আর নিজেদের রাজ্য সংস্থার কর্তা থাকতে পারবেন না। তবে ফেডারেশনের কর্মসমিতির পদ ছেড়ে দিলে রাজ্য সংস্থায় থেকে যেতে পারেন।

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের কোনও সমস্যা নেই। তিনি কোনো রাজ্য সংস্থার কর্তা নন। তবে বেশিরভাগেরই সমস্যা রয়েছে। ফেডারেশনের কর্মসমিতিতে ১৬ জন নির্বাচিত কর্তা রয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ১২ জন রাজ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। তারা কী করবেন এখনও জানা যায়নি। এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না।

কেউ কেউ নিজের রাজ্য সংস্থার সভাপতি বা সচিবের মতো সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। কেউ আবার রাজ্যের স্থানীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্মসমিতিতে রয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, বেশির ভাগই রাজ্য সংস্থার পদ ধরে রাখবেন। কারণ ফেডারেশনের নির্বাচন হতে এখনও বছর খানেক দেরি।

এই নিয়ম প্রথমে এনেছিল কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ), যার শীর্ষে ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি। পরে এটি রাওয়ের খসড়া সংবিধানে বাদ দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে সুপ্রিম কোর্টে এটিকে চূড়ান্ত সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারা জানিয়েছে, এমনিতেই তারা একসঙ্গে দুটো পদ ধরে রাখার বিরোধী।

এর পাশাপাশি কোনো কর্তা যেন দুটো পদ সামলাতে গিয়ে বেশি দায়িত্ব কাঁধে না নিয়ে ফেলেন, তাই এই নিয়ম আনা হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে একটি কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন কল্যাণ। সেখানেই এই নিয়মটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের বিরোধিতা করার কোনো রাস্তা নেই। ফিফাও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংবিধান চালু করতেই হবে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘের গোয়েন লুইসের সাক্ষাৎ Oct 07, 2025
img
আমি তো শাবানা আপাকেও ক্লিভেজ দেখিয়ে নাচতে দেখেছি : রুনা খান  Oct 07, 2025
img
টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কনমেবল ইভল্যুশন লিগের শিরোপা জিতল ব্রাজিল Oct 07, 2025
img
আজ নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড Oct 07, 2025
img
ভারত কি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে চায়, প্রশ্ন জাহেদ উর রহমানের Oct 07, 2025
img
শিল্পীদের ক্ষেত্রেও সংস্কার চান শাহরিয়ার নাজিম জয় Oct 07, 2025
img
সেনা অভিযানে ভুয়া ডিজিএফআই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার Oct 07, 2025
img
ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক ব্রাজিল তারকা Oct 07, 2025
img
যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা ‘ইতিবাচক’ Oct 07, 2025
img
‘৩১ দফা না জুলাই সনদ’- অগ্রাধিকার স্পষ্ট করলেন তারেক রহমান Oct 07, 2025
img
প্রবীণদের আত্মনির্ভরশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা Oct 07, 2025
img
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তি, রক্তপাতের অবসান চান ফিলিস্তিনিরা Oct 07, 2025
img
বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১.২ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক Oct 07, 2025
img
সিঙ্গাপুর সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বিশেষ দূতের উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক Oct 07, 2025
img
দেশের অর্থনীতি স্বস্তিতে থাকলেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা Oct 07, 2025
img
গ্রেটা থুনবার্গকে ঝামেলাবাজ বললেন ট্রাম্প! Oct 07, 2025
img
চীন থেকে ২০টি অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, সম্ভাব্য ব্যয় ২.২ বিলিয়ন ডলার Oct 07, 2025
img
নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে জাতিসংঘের সহায়তা প্রত্যাশা জামায়াতের Oct 07, 2025
img
সমুদ্রপথে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা Oct 07, 2025
img
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কমিশনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চায় ইসি Oct 07, 2025