দেশজুড়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে নাম জড়াচ্ছে বিএনপির। তবে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণের নেতিবাচক পারসেপশন তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এটিকে সরকারের একটি কৌশল বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দেখুন আমাদের সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মী বহিষ্কার হয়েছে।
আমাদের সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজকে পরিষ্কার করে বলেছেন। এদের সবাই যে চাঁদাবাজির জন্য বহিষ্কার হয়েছে তা কিন্তু না। অনেক সময় দেখা গেছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপার আছে। দলের নির্দেশ না মানার ব্যাপার আছে, ইত্যাদি ইত্যাদি কারণেও কারো কারো পদ স্থগিত হয়েছে বা তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে যে কথাটি আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি বাংলাদেশে একটি সরকার আছে বাংলাদেশে আইন আছে প্রচলিত আইনে এগুলো সব সবগুলোই ফৌজদারী অপরাধ। তো ফৌজদারী অপরাধে যিনি অপরাধী তার ব্যাপারে তো বিএনপি কখনো বলতে যায় নাই সরকারকে যে আমার দলের যদি কেউ হয় আপনি সেখানে আইনের প্রয়োগটা করবেন না, আমার দলের যদি হয় তাহলে আপনি তাকে অ্যারেস্ট করতে পারবেন না, তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায় মামলা দায়ের করতে পারবেন না, এটা তো কোথাও বলা হয় নাই।
রুমিন আরো বলেন, ‘দেশের যেকোন অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের। যদি বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে নিজের নেতাকর্মীদের অপরাধের সময় বিএনপি যদি একটা নির্বিকার আচরণ করে, যদি বিএনপি নেতাকর্মীদের অপরাধ পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি কোনো অ্যাকশন নিতে যায় তখন যদি বিএনপি সেখানে বাধা দেয়, তখন বলতে পারবেন যে বিএনপির নেতাকর্মীদের এই ধরনের অপরাধকে বিএনপি প্রশ্রয় দিচ্ছে। কিন্তু সেই অবস্থা তো এখনো তৈরি হয় নাই।’
দেশজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না দলটি। তবে রুমিনের মতে, এর ব্যর্থতা অনেকটা অন্তর্বর্তী সরকারের উপরও বর্তায়। রুমিন জানান, সরকার ইচ্ছা করেই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিএনপির ওপর এই অভিযোগের পাহাড়গুলো চাপতে থাকুক, এটাই চায় সরকার। রুমিন বলেন, ‘পলিটিক্স পারসেপশনের ভীষণ গুরুত্ব আছে রাজনীতিতে। সরকার চাইছে যে বিএনপি চাঁদাবাজি করে এই পারসেপশনটা সব সর্বত্র থাকুক। সে কারণেই সরকার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোনো তড়িৎ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
সোশ্যাল মিডিয়াতেও বট বাহিনীর মাধ্যমে বিএনপির চরিত্র হনন চলছে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘শত শত বট আইডি। একজন কর্মীর হাজারটা বট আইডি থাকবে সে তার দলের প্রোপাগান্ডা এবং ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের চরিত্রহনন করেছে। এটা বিএনপি করতে পারে নাই। এখন বট আইডি খুলে প্রচারণা চালানো আমরা পারি নাই। এটা যদি ব্যর্থতা হয়ে থাকে আমাদের।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে যাবে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘আমি একেবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিটিং থেকে আপনাকে বলি, জনাব তারেক রহমান আরো বহু মাস আগে আমাদের এলাকায় যে উনি কর্মীসভা করেছেন উনি বলেছেন যে আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এরকম কোনো অভিযোগ আসলে আমরা নিজে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। দল থেকে তো বহিষ্কার হবেই হবে উল্টো আইনগত ব্যবস্থাও আমরা নিজেরা নেব।’
কেএন/টিকে