দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে বিবিসি বাংলা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনি প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, তিনি সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছিলেন এবং অসুস্থতা নিয়ে ফিরে এসেছেন, তাকে যথাযথ চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।
কিন্তু... যদি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, শরীর এলাও করে উনাকে, নিশ্চয়ই নির্বাচনে উনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন। সংবাদ ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
নিজের দেশে ফেরা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, কিছু সংগত কারণে হয়ত ফেরাটা হয়ে উঠেনি এখনো। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়। ইনশআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে জনগণের সঙ্গে জনগণের মাঝেই থাকব, ইনশাআল্লাহ।
২০২৬ সালের নির্বাচনকে দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ নির্বাচন একটি অন্তর্বর্তী সরকার আয়োজন করছে। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তার ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয় এবং তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
এই আন্দোলন এবং শেখ হাসিনা সরকারের তাণ্ডবে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়।
শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পলে ফলে দেশে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়। এ সময় এ শূন্যতা পূরণে দায়িত্ব আসেন শেখ হাসিনার সমালোচক এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার।
পরে আওয়ামী লীগকে যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়।
কেএন/টিকে