ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইলিশ শিকারের অপরাধে ৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেক জেলেকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণে গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পদ্মা নদীর চরভদ্রাসন অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলেকে ইলিশ ধরতে দেখা যায়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সদস্যরা চারজনকে আটক করে।
অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব, চরভদ্রাসন থানার উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. সজিবসহ পুলিশ সদস্যরা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব পারভেজ বলেন, ‘আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এ সময় যাতে কোনো অসাধু জেলে নদীতে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য আমাদের তৎপরতা থাকবে আগামী ২৫ এ অক্টোবর পর্যন্ত।’
চরভদ্রাসন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যায়েদ হোছাইন বলেন, ‘ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে চার জেলেকে আটক করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাটবাজারে কেউ যেন ইলিশ বিক্রি করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জব্দ ইলিশ স্থানীয় মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে।’
গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর এ ২২ দিন ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সমুদ্র এবং নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করেছে সরকার। এই ২২ দিন সকাল সন্ধ্যা অভিযান পরিচালনা করছে মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসন। এ বিশেষ অভিযানে ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন এবং সংরক্ষণ নিষিদ্ধ থাকবে।
কেএন/টিকে