ইয়ুথ লিডার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. রাকিব আল হাসান বলেছেন, “একজন ‘এনসিপি’র নেতা, একজন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র নেতা। তারা হঠাৎ করে টিভির রিপোর্টার থেকে এখন চ্যানেলের মালিক হয়ে গেল। আমি একটা টিভি চ্যানেলে বসে আছি, আপনি একজন টিভি চ্যানেলে চাকরিজীবী বা আপনি সংবাদ পড়েন। তো আপনি তো জানেন একটা টিভি চ্যানেলের মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে আসতে হলে কী পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট দরকার? তো সেই জায়গা থেকে একজন রিপোর্টার থেকে চ্যানেলের মালিক হয়ে গেল।
একটি টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি একজন রিপোর্টার থেকে একটা চ্যানেলের মালিক হয়ে যাচ্ছেন রাতারাতি। এই অর্থের জোগানটা কোথা থেকে আসছে? তাহলে তো এটা সেই পুরনো বন্দোবস্ততে রয়ে গেল। নতুন বন্দোবস্ততে আমরা যেতে পারলাম না। তো যখন আপনি পাওয়ার প্র্যাকটিস করবেন, আবার আপনি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন, আবার বিরোধিতা করবেন।
এই একটা জগাখিচুড়ির মধ্যে আসলে এনসিপি রয়ে গেছে।’ রাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি এনসিপি যদি টোটালি মেইনস্ট্রিম পলিটিকস করত এবং পলিটিক্যাল ফোকাস থাকত, তাহলে আমার মনে হয় তাদের অবস্থানটা আরো ভালো থাকত।’
তিনি বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে উপদেষ্টা, মোটা দাগে কারো বিরুদ্ধে কোনো ফিন্যান্সিয়াল অভিযোগ আসেনি। যে কয়জনের বিরুদ্ধে এলো তারা কিন্তু অপেক্ষাকৃত তরুণ উপদেষ্টা।
তো সেই জায়গা থেকে আসিফ মাহমুদের এপিএসের পাসপোর্ট জব্দ করা হলো। কিন্তু ওনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলো না। হাসিনার আমলেও আমরা একই ধরনের ট্রেন্ড দেখেছিলাম। তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়, কিন্তু মনিব ঠিক অবস্থানে থাকে। তো আমরা যদি নতুন বন্দোবস্তের কথা বলি, তাহলে সে জায়গা থেকে তো সেখানে অভিযোগ করার জায়গা থাকত। তাহলে নতুন বন্দোবস্তের জিনিসটা আরেকটু কায়েম হতো।’
এসএস/এসএন