সুপারিশভিত্তিক পর্যালোচনায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার পরামর্শ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না করেই শেষ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা। জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে দ্বিমত রয়ে গেছে। তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সুপারিশ প্রস্তাব করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর সাড়ে সাত মাসের দীর্ঘ বৈঠক ৮৪ বিষয়ে ঐকমত্য ও ১০টি মৌলিক সংস্কারের নোট অফ ডিসেন্ট দিয়ে শেষ হলো।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১১টায়। তবে শেষ বৈঠকও শেষ হয় সিদ্ধান্তহীনতায়। গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও দিনক্ষণ নিয়ে দ্বিমত রয়ে গেছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘গণভোটটি কখন হবে এই নিয়েই কিছুটা দ্বিমত আছে। অনেকে বলেছেন গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন একসাথে হবে। আমরা বলেছি গণভোট আলাদা বিষয়, জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয় এবং দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং গণভোটটি আগে হয়ে যাওয়া দরকার।’

বিএনপি চায় নির্বাচনের দিনেই গণভোট। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নির্বাচনের আগে এ দাবি থেকে সরে আসার আহ্বান দলটির।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই গণভোটটি কখন হবে, কীভাবে হবে এবং তার গাঠনিক কাঠামোটা কীভাবে হবে?’

আলোচনা শেষ হয় কমিশনের সহসভাপতি বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি জানান, ১৫-১৬ অক্টোবরে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করাতে চায় কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা চাই আগামী ১৫ তারিখ সম্ভব হলে না হলে সর্বোচ্চ ১৬-১৭ তারিখের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিকভাবে এই যে ঐতিহাসিক দলিল আমরা সকলে তৈরি করেছি, বিশেষত আমরা তৈরি করেছেন সেটির যেন একটি সাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।’

কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আলোচনা শেষ হলেও বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত অবধি।

টিজে/এসএন







Share this news on:

সর্বশেষ

img
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমি গভীরভাবে আনন্দিত: এরদোয়ান Oct 09, 2025
img
রংপুরে বিসিবির আঞ্চলিক অফিস না থাকায় ক্ষোভ Oct 09, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু Oct 09, 2025
img
ফর্মে নেই কেইন, বলেও লাথি যাচ্ছে মিস Oct 09, 2025
img
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম নেতানিয়াহুর দেশের কেৎজিয়েত কারাগারে: দৃক Oct 09, 2025
img
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবি Oct 09, 2025
img
মুফতি আমির হামজা বেয়াদবিতে সেরা, বললেন তাহেরী Oct 09, 2025
img
চেয়েছি শাকিব খানের সাথেই অভিষেক হোক, তাই কলকাতার সিনেমা ছেড়েছি Oct 09, 2025
img
জামাল খেলুক বা না খেলুক, সেই আমাদের অধিনায়ক : কাবরেরা Oct 09, 2025
img
৬৫,৫০২ প্রধান শিক্ষক পাবেন ১০ম গ্রেড, মন্ত্রণালয়ে চিঠি Oct 09, 2025
img
বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ Oct 09, 2025
img
৬০ কোটি টাকা জমার শর্তে বিদেশ যাত্রার অনুমতি, শিল্পা-রাজকে আদালতের নির্দেশ Oct 09, 2025
img
স্বৈরাচারী ব্যবস্থা শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করেছিল : বদিউল আলম মজুমদার Oct 09, 2025
img
নাইজেরিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা Oct 09, 2025
img

৮ বছর পর স্বামীর কবর জিয়ারত

মানুষের কষ্ট এড়াতে গভীর রাতকে বেছে নেন বেগম জিয়া Oct 09, 2025
img
গাজা শান্তিচুক্তি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা জাতিসংঘ মহাসচিবের Oct 09, 2025
img
রোহিত-কোহলিকে বিশ্বকাপে চাই, সাফ জানালো গিল Oct 09, 2025
img
বড় পর্দায় ব্যর্থ, নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাচ্ছে ‘ওয়ার ২’ Oct 09, 2025
img
বিরল রোগের সঙ্গে লড়ছেন অর্চিতা, দোয়ার আবেদন Oct 09, 2025
img
ইতিহাসে সেপ্টেম্বরের তাপমাত্রা তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড করল Oct 09, 2025