গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমি গভীরভাবে আনন্দিত: এরদোয়ান

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তুর্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এনসোশ্যাল-এ দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত হামাস-ইসরায়েল আলোচনা, যেখানে তুরস্কও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সেই আলোচনার মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমি গভীরভাবে আনন্দিত।’

এরদোয়ান বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই—যিনি রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়ে ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছেন। পাশাপাশি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতার ও মিসরকেও ধন্যবাদ জানাই, যাদের সহযোগিতা এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করতে বড় ভূমিকা রেখেছে।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও জানান, আঙ্কারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, তুরস্ক সেই দিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে, যতদিন না ১৯৬৭ সালের সীমারেখা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

এরদোয়ান ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘দুই বছরের অবর্ণনীয় কষ্ট, অপমানজনক জীবনযাপন, সন্তান ও প্রিয়জন হারানো—সবকিছুর পরও ফিলিস্তিনিরা তাদের সম্মানজনক অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়নি। আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।’

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনার আওতায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এতে রয়েছে ইসরায়েলি বন্দিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তি, যুদ্ধবিরতি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার পুনর্গঠন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৭ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। লাগাতার বোমাবর্ষণে অঞ্চলটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে; খাদ্যসংকট ও রোগব্যাধিতে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

ইএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দায় শুধু আমার নয়, দলেরও আছে : কাবরেরা Oct 10, 2025
img
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুততম সময়ে ফলাফল প্রকাশে রেকর্ড Oct 10, 2025
img
চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে রেড ক্রিসেন্টে কর্মীদের বিক্ষোভ Oct 10, 2025
img
সোমবার বা মঙ্গলবার জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হতে পারে: ট্রাম্প Oct 10, 2025
img
আগারগাঁওয়ের ভাইরাল ‘কেক পট্টি’ বন্ধের নির্দেশ Oct 10, 2025
img
চাঁদপুরের সাবেক পৌর মেয়র গ্রেপ্তার Oct 10, 2025
img
আজ মাঠে নামছে ব্রাজিল, শিষ্যদের বিশেষ বার্তা আনচেলত্তির Oct 10, 2025
img
বিষন্ন হামজাকে সান্ত্বনা দিলেন লিটন Oct 10, 2025
img
‘দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি জান্নাত নিশ্চিত’ Oct 09, 2025
img
ধান লাগাই দেমু: হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 09, 2025
গাজামুখী জাহাজ আটক, শহিদুল আলমকে নেয়া হচ্ছে ইসরায়েলে Oct 09, 2025
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলার মানুষ জানেও না বুঝেও না Oct 09, 2025
খিলক্ষেত ফুটওভার ব্রিজে জীবন ঝুঁকি! Oct 09, 2025
ক্রেডিট কার্ড নিতে লাগবে না আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র Oct 09, 2025
img
নোবেল না পেলে যে কোনো কিছু করতে পারেন ট্রাম্প! Oct 09, 2025
img
৫ দাবিতে শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন Oct 09, 2025
img
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে: নাহিদ Oct 09, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ১১টি অধ্যাদেশ, তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন Oct 09, 2025
img
এবার শাহরুখকে কড়া ভাষায় আক্রমণ পরিচালকের Oct 09, 2025
img
বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা, দায়মুক্তি পাচ্ছেন আসামিরা Oct 09, 2025