বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করে আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে ভিন্ন লড়াইয়ে নামছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে তারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের মিশন হাতে নিয়েছে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এশিয়ান সফরের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে। তার আগে শিষ্যদের ব্যক্তিগতভাবে নায়ক হওয়ার চেয়ে ট্রফি জয়ের উপযোগী পারফরম্যান্স দেওয়ার আহবান জানালেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
অক্টোবর উইন্ডোতে দুটি ম্যাচ খেলবে সেলেসাওরা। দক্ষিণ কোরিয়ার পর তাদের প্রতিপক্ষ জাপান। সিউল বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শুরু হবে কাল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়। আনচেলত্তি এখনও পজিশন অনুযায়ী তার পছন্দের ব্রাজিল দল গড়তে পারেননি। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাননি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। সেলেসাওরা বাছাই শেষ করেছে লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলে ৫ নম্বরে থেকে। যে কারণে আনচেলত্তি জন্য প্রীতি ম্যাচগুলো শিষ্যদের পরখ করে দেখার উপলক্ষ্য।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের এই ইতালিয়ান কোচ জানান, ‘আমরা এশিয়ান দলগুলো সম্পর্কে জানি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে তারা। আমরা এই দুটি ম্যাচ খেলতে উন্মুখ, কঠিন লড়াই হবে।
একইসঙ্গে বিশ্বকাপে আমরা যেসব বাধার সম্মুখীন হতে পারি সেসবের প্রস্তুতিতে এই ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এটা দলের জন্য তাদের মান, মনোভাব ও বিশ্বকাপের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর উন্নতি করার একটি সুযোগ।’
এরপরই ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলের জয়ই গুরুত্বপূর্ণ বলে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন আনচেলত্তি, ‘ফুটবলারদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য দলের পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য খুব স্পষ্ট, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়া নয়, বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমি সেই খেলোয়াড়দের চাই, যারা সেরা হওয়ার জন্য নয়, ট্রফি জয়ের জন্য বিশ্বকাপে থাকতে চায়।’
২০০২ সালের পর আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি বিশ্ব ফুটবলের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ধারণ করা ব্রাজিল। ২০২৭ সালে সেই খরা কাটানোর লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। সর্বশেষ বিশ্বকাপ আসরগুলোয় তারা বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সেই দশা কাটানোর লক্ষ্যে প্রথমবার পূর্ণ মেয়াদে বিদেশি কোচ হিসেবে আনচেলত্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার অধীনে ব্রাজিল এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে দুটি জয় এবং একটি করে হার ও ড্র দেখেছে।
ইউটি/টিকে