অভিষেক দাস নামটা অনেকের কাছেই পরিচিত। বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য তিনি। বিশ্বকাপ জিতে পিঠের ইনজুরিতে সে বছরই আড়ালে চলে যান। পাঁচ বছর চোটের সঙ্গে লড়ে গত পরশু খুলনা বিভাগের হয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছে ২৪ বছর বয়সি এই পেসারের। আজ চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে খেলেছেন দ্বিতীয় ম্যাচ।
প্রত্যাবর্তনে বলার মতো কিছু করতে না পারলেও আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাখ্যাতীত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। বল হাতে ২ ওভারে ১৫ রান দিলেও ব্যাট হাতে মাত্র ১১ বলেই করেছেন ২৭ রান। তাতে চট্টগ্রামকে হারিয়ে খুলনা উঠেছে এনসিএলের ফাইনালে। চট্টগ্রাম চলে গিয়েছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।
চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের মধ্যকার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। খুলনা ১২ অক্টোবরের ফাইনালে এই ম্যাচের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে।
সিলেটে আগে ব্যাট করা চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করেছিল। ডিএলএস মেথডে খুলনা পায় ৯ ওভারে ৭৮ রানের লক্ষ্য। রান তাড়ায় ৩০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা খুলনাকে এরপর জেতান অভিষেক ও নাহিদুল ইসলাম। অভিষেক ১১ বলের ইনিংস সাজান ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে। নাহিদুল ৯ বলে ২১ রান করতে মারেন ২টি চার ও একটি ছয়। ৩ বল বাকি থাকতেই ৮১ রান করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। খুলনার হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ করেন সৌম্য সরকার। আহমেদ শরিফ ও হাসান মুরাদ নেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা ও নাঈম হাসান।
চট্টগ্রাম ১৪৮ রান করেছিল ইয়াসির আলী, ইরফান শুক্কুর ও শাহাদাত হোসেনের ব্যাটে। ইয়াসির ৩৭ বলে ৪৫, ইরফান ৩৩ বলে ৩৯ ও শাহাদাত ১৯ বলে ২৫ রান করেন। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। একটি করে উইকেট পান নাহিদুল, টিপু সুলতান ও পারভেজ জীবন।
ইএ/টিকে