ফুটবলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফেরার কথা বলতে গেলে রিয়াল মাদ্রিদের নাম চোখে ভেসে উঠবে! যে কারণে তাদের কামব্যাক মাদ্রিদও বলে থাকেন ভক্তরা। লস ব্লাঙ্কোসরা অহরহ এমন ফেরার গল্প লেখে, কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবলে ফেরা শব্দটা বিরল। আজ সেই বিরল কাজটাই করেছিলেন হামজা চৌধুরিরা। ১-৩ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মিনিটের ভুলে সেই ফেরার মঞ্চই মুহূর্তে রূপ নিয়েছে বিষাদে। অথচ প্রতিপক্ষ কোচও ধরে নিয়েছিলেন ম্যাচটা ড্র হতে যাচ্ছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হংকং কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউড বলেন, ‘৩–১ এ আমরা খুবই স্বস্তিতে ছিলাম, ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে মনে হচ্ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, গোলকিপারের চোটের কারণে তারা খেলায় ফিরে আসে। ৩–২ হওয়ার পর থেকেই বুঝতে পারছিলাম, ম্যাচটা আরেকটা মোড় নিবে। মনে হচ্ছিল ড্র হতে পারে, কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা সবসময় আমার মতোই একটা মানসিকতা রাখে—শেষ পর্যন্ত লড়াই করা।’
‘আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করি, যেমন আমাদের সমর্থকরা করে, যেমন হংকং করে— অবিশ্বাস্য স্পিরিট! আমি মনে করি জয়ের প্রতি আমাদের ইচ্ছাশক্তিই আমাদের জেতার মূল কারণ, যা আমাদের তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে।’-যোগ করেন তিনি। এই ইংলিশ কোচ বিশ্বাস করেন, প্রতিটি গোলই হয় ভুল থেকে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গোলই কোনো না কোনো ভুলের ফল। আমাদের দ্বিতীয় গোল এসেছে বাংলাদেশের গোলরক্ষকের ভুলে। প্রথম গোল এসেছে ভুল যোগাযোগ থেকে, আমাদের ব্যাকলাইনও একটু নিচে ছিল। খুব কমই দেখা যায় ম্যারাডোনার মতো কেউ পাঁচজনকে ড্রিবল করে গোল দেন! তাই আমি প্রতিপক্ষকে সমালোচনা করব না। আমি শুধু আমার দলের ভুল ঠিক করায় মনোযোগ দিতে চাই।’
এশিয়া কাপের পরিকল্পনা নিয়ে হংকং কোচ বলেন, ‘শুধু ইচ্ছা আর লক্ষ্যই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমরা এশিয়া কাপের জন্য যোগ্যতা অর্জনে মরিয়া ছিলাম। আমরা জানতাম ভারত আর সিঙ্গাপুর ড্র করেছে। তাই এই ম্যাচ জিতলে আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকব।’