বাংলাদেশের ম্যাচটা ছিল রোমাঞ্চে ভরা এক রোলার কোস্টার! শুরুটা যেন স্বপ্নের—হামজা চৌধুরীর দুর্দান্ত ফ্রি কিকে এগিয়ে গিয়েছিল লাল-সবুজরা। কিন্তু সেই স্বপ্ন গলে যায় তিন গোল হজমের আঘাতে। তবু হাল ছাড়েননি শেখ মোরসালিন ও শমিত সোম। তাদের জোড়া আঘাতে ফের সমতায় বাংলাদেশ। তবু শেষ মুহূর্তের হৃদয়ভাঙা গোলেই হারতে হলো হংকংয়ের বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানে।
এদিন জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পান শমিত সোম। ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে সমতার গোল এনে দেন তিনি। মোরছালিনের কর্নারে ডিফেন্ডারের হেডে বল ভেসে যায় দূরের পোস্টে, সেখান থেকেই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন শমিত। সমতার উল্লাসে তখন মুখর পুরো গ্যালারি।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। কিক-অফের পরপরই আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় হংকং। রেফারির শেষ বাঁশির মুহূর্তেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের পর শমিত সোম বলেন, ‘হতাশ কিনা জানি না, তবে গোলটা করতে পেরে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। বাংলাদেশের হয়ে গোল করতে পারা অনেক সম্মানের। আমি খুশি হতাম যদি আমার গোল না হতো, কিন্তু আমরা জিততাম। তবে দেশের জন্য গোল করতে পেরে গর্বিত। এই অনুভূতি আমি জীবনে কোনোদিন ভুলব না।’
শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়েও জয় হাতছাড়া—বাংলাদেশ কোথায় তাল হারাল? শমিতের ব্যাখ্যা, ‘পজিটিভ দিক হলো আগে কখনো চিন্তা করা যেত না ১-৩ পিছিয়ে থেকেও আমরা ফিরে আসব। আমাদের দলে অনেক ক্যারেক্টার আছে, অনেক প্যাশন আছে। আমরা হতাশ হব না। এটা একটা ফাউন্ডেশন—এখান থেকে আমরা শিখব।’
ডিফেন্সে দুর্বলতা নিয়েও খোলাখুলি মত দেন শমিত, ‘সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও একইভাবে গোল খেয়েছিলাম। এসব থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ইজি গোল হজম করলে ম্যাচ জেতা যায় না। আমাদের আরও শৃঙ্খল হতে হবে, বিশেষ করে ব্যাকলাইনে। সবার দায়িত্ব আছে। এটা ফুটবল—আপস অ্যান্ড ডাউনস থাকবেই। গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা শিখে এগোব।’
শেষে বাংলাদেশি সমর্থকদের উদ্দেশে কানাডা প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই তারকা বলেন, ‘আমরা সবাই হতাশ, কারণ ফ্যানদের জেতার আনন্দ দিতে পারিনি। এবার পারিনি, তবে সামনেরবার আমরা জিতব ইনশাআল্লাহ।’
ইএ/এসএন