হংকংয়ের কাছে হেরে এশিয়ান কাপের জটিল সমীকরণে বাংলাদেশ

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন দারুণ চ্যালেঞ্জের মুখে। গতকালের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর সাত গোলের লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তে হেরে বাংলাদেশ স্বপ্নটিকে অনেকাংশে হারিয়েছে। তবে কাগজে কলমে এখনও টিকে আছে কিছু আশা।

বাংলাদেশের জন্য বাছাইপর্বে পথটিকে সহজ নয়। প্রথম তিন ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়ায় হামজা-জামালরা এখন বাকি তিন ম্যাচের সবটিতেই জিততে হবে। কোনো ম্যাচে হেরে গেলে এশিয়ান কাপের সম্ভাবনা অনেকাংশে ম্লান হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের গ্রুপে হংকং, ভারত ও সিঙ্গাপুর রয়েছে। গ্রুপের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হংকং শীর্ষে অবস্থান করছে, সিঙ্গাপুর দ্বিতীয় স্থানে, ভারত তার চেয়ে নীচে এবং বাংলাদেশ এখনো তালিকার তলায়। বাংলাদেশকে বাকি তিনটি ম্যাচে ভারত, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের বিপক্ষে খেলতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে জিতলেই হবে, কিন্তু শুধু জয়ই যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশকে বাকি দলের ফলাফলের দিকে নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। যদি সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে পরাজয়ের পাশাপাশি অন্য কোনো ম্যাচে হারে বা ড্র করে, তাহলে বাংলাদেশের জন্য আশা খুলে যেতে পারে।



হংকং ইতোমধ্যেই গ্রুপে এগিয়ে আছে। তাই বাংলাদেশ চাইবে বাকি ম্যাচে হংকং জিতুক, তবে তাদের কাছে বাংলাদেশও হারবে। সেক্ষেত্রে হংকংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দল হিসেবে এশিয়ান কাপের জন্য স্থান পেতে পারে। একই সঙ্গে ভারতকে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অন্তত একটি ম্যাচে ড্র করতে হবে।

এভাবে সমীকরণ দাঁড়ায় যে, বাংলাদেশ যদি বাকি তিন ম্যাচে জয় পায় এবং বাকি দলগুলোর ফলাফলে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে তারা দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে পারবে। এই সম্ভাব্য ফলাফলে হংকং গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করবে এবং ভারত গ্রুপের তলায় থাকবে।

বাংলাদেশের তাদের পরবর্তী ম্যাচে ১৪ অক্টোবর মুখোমুখি হবে হংকংয়ের বিপক্ষে তাদের মাঠে। পরের ম্যাচ ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।  সবকিছু মিলিয়ে, বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের স্বপ্ন এখনও জাগ্রত আছে, কিন্তু পথের প্রতিটি ধাপেই ভুল করার কোনো সুযোগ নেই।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেড় যুগ পর পুরোনো ঠিকানায় ফিরছেন বালাম Oct 11, 2025
img
শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ বাতিল চায় ঐকমত্য কমিশন Oct 11, 2025
img
মালদ্বীপে ‘হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ৫ বাংলাদেশি প্রবাসী Oct 11, 2025
img
নোবেল জয়ী মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 10, 2025
img
পুলিশ এখন বানরের মতো হয়ে গেছে, ওসির ক্ষোভ প্রকাশ Oct 10, 2025
img
অবকাঠামো উন্নয়ন তদারকিতে আনিকদের বরাদ্দ দিলো ডিএনসিসি Oct 10, 2025
img
ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় হার বাংলাদেশের Oct 10, 2025
বে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করবেন | ইসলামিক টিপস Oct 10, 2025
ইসরাইলের জেল থেকে রেহাই পেলেন শহিদুল আলম! Oct 10, 2025
নানা চরিত্রে অভিনয়, ভোটার টানতে ভিন্ন কৌশলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ! Oct 10, 2025
'জামায়াতের সাথে বিএনপির সিট ভাগাভাগির প্রশ্নই আসে না Oct 10, 2025
img
২০২৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ৪০ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা ইইউর Oct 10, 2025
img
অনেক রং মিশে যেমন রংধনু, তেমনই সবাই মিলে বাংলাদেশ : আমীর খসরু Oct 10, 2025
img
ফিলিপিন্সে ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত Oct 10, 2025
img
মারুফার জীবনের গল্প শুনে চোখ ভিজবে আপনারও Oct 10, 2025
img
হংকংয়ে হামজারা, জর্ডানে অর্পিতারা Oct 10, 2025
img
আমাদের কোয়ালিফায়ারে খেলা মানায় না: তানজিম Oct 10, 2025
img
সামোয়ার হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের স্বাদ টেইলরের Oct 10, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎস্বর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো Oct 10, 2025
img
দেড় বছর বাড়ির বাইরে যেতে পারেননি পরীমণি, কারণ কী? Oct 10, 2025