মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বৃহস্পতিবার (৯ই অক্টোবর, ২০২৫) বলেছেন যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি মধ্যস্থতা করায় তাঁর মার্কিন সমকক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্য'। দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনি ছিটমহলে ইসরায়েলি হামলার অবসানের জন্য এই চুক্তি হয়েছে।
মিশরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিসি টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টার সাফল্যের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানান। মিশরের প্রেসিডেন্ট শান্তির প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকারের জন্য তাঁর গভীর প্রশংসা প্রকাশ করেন।
বিবৃতি অনুসারে, সিসি ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতাকে একটি ঐ্তিডহাসিক অর্জন হিসেবে বর্ণনা করেন, যা শান্তির জন্য ট্রাম্পের বাস্তব ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন।
সিসি স্পষ্ট করে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর এই মধ্যস্থতার জন্য পুরোপুরি এবং ন্যায্যভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।
অন্যদিকে, ট্রাম্প এই অর্জনকে ঐতিহাসিক অর্জন বলে অভিহিত করে গভীর আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, শর্মা এল-শেখ-এ এই যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় বিশ্বের দৃষ্টি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মিশরের ওপর ছিল এবং সিসির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথাও তুলে ধরেন।
চার দিন ধরে মিশর, তুরস্ক, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শর্মা এল-শেখ-এ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার ভোররাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ঘোষিত হয়।
এর আগে ২৯শে সেপ্টেম্বর, ট্রাম্প গাজার জন্য একটি ২০-দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা উন্মোচন করেন। এই পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো হলো:
সব ইসরায়েলি বন্দীর বিনিময়ে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি।
একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজার পুরো এলাকা থেকে পর্যায়ক্রমে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার।
পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসের অংশগ্রহণ ছাড়া গাজায় একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিনি এবং আরব ও ইসলামি দেশগুলোর সৈন্যদের নিয়ে একটি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন এবং হামাসের নিরস্ত্রকরণের কথা বলা হয়েছে। এতে নতুন প্রশাসন এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য আরব ও ইসলামি অর্থায়নের শর্তও রাখা হয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সীমিত অংশগ্রহণ থাকবে।
তথ্যসূত্র আনাদোলু এজেন্সি।
এমকে/এসএন