২০২৫ সালে বলিউডে পুরোনো নিয়ম ভেঙে দিলেন দর্শকরা। বড় বাজেট, তারকা আর প্রচারণা—সব কিছুই ব্যর্থ হয়েছে যখন গল্প ও অভিনয়ের জোর মিলেনি। এ বছর এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি ভারতীয় সিনেমা জায়গা করে নিতে পেরেছে সম্মানজনক ৩০০ কোটি রুপির ক্লাবে। বাকিগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে।
সবচেয়ে বড় চমক এনে দিয়েছে ভিকি কৌশলের ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী সিনেমা ‘ছাভা’। ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি ভারতের বক্স অফিসে আয় করেছে প্রায় ৬০০ কোটি রুপি। একদিকে আবেগঘন গল্প, অন্যদিকে ভিকির শক্তিশালী অভিনয়—দুটি মিলে ছবিটি হয়ে ওঠে বছরের সবচেয়ে সফল সিনেমা। সমালোচকরা বলছেন, এই ছবির মাধ্যমে ভিকি কৌশল প্রমাণ করেছেন তিনি এখন বলিউডের ভরসাযোগ্য মুখ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ‘সাইয়ারা’ যেন রোমান্সের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে তরুণ দর্শকদের কাছে। পরিচালক মোহিত সুরির হাত ধরে নবাগত আহান পান্ডে ও অনীত পাড্ডার রসায়ন ছুঁয়ে গেছে দর্শকের হৃদয়। সুমধুর গান, সহজ প্রেমের গল্প আর মুখে মুখে প্রচারণায় ছবিটির আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি রুপি।
তৃতীয় স্থানে থাকা ‘কুলি’ নিয়ে শুরু থেকেই ছিল বিপুল আগ্রহ। রজনীকান্ত ও লোকেশ কানাগারাজের জুটিতে প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। যদিও সমালোচনার মুখে পড়ে সিনেমাটি, তবুও তারকা শক্তি ও প্রাথমিক উত্তেজনায় ছবিটি সংগ্রহ করে ৩২০ কোটি রুপি।
আরেকটি দারুণ চমক এসেছে দক্ষিণ থেকে—ঋষভ শেট্টির ‘কান্তারা: অধ্যায় এক’। মুক্তির দিনেই ৭০ কোটি রুপি আয় করে ছবিটি তৈরি করে নতুন রেকর্ড। আধ্যাত্মিক গল্প ও অনবদ্য নির্মাণে এটি দর্শককে মুগ্ধ করেছে। ইতিমধ্যে ছবিটির আয় ৩৩২ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে এবং বছরের শেষ নাগাদ ৫০০ কোটি রুপি ছুঁয়ে ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এ বছর এখন পর্যন্ত বড় বাজেটের অনেক ছবিই দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বছরের শেষ দিকে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘থম্মা’ ও ‘ধুরন্ধর’ নিয়েই এখন আশা পুরো বলিউডের।
ইউটি/টিকে