মার্কিন সামরিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের বাকসনট এলাকায় একটি সামরিক বিস্ফোরক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরো অনেকে আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ন্যাশভিল শহর থেকে প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত অ্যাকিউরেট এনার্জেটিক সিস্টেমস কারখানায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।

তবে কারখানায় শিফট পরিবর্তনের সময় বিস্ফোরণ ঘটায় ভবনের ভেতরে সাধারণ দিনের তুলনায় কম শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। তবুও এখনো অনেকের খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দ কয়েক মাইল দূর থেকেও শোনা গেছে এবং আশপাশের ঘরবাড়ির কাচ কেঁপে ওঠে।

বিস্ফোরণে কারখানার একটি পুরো ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলের ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে আকাশে, আশপাশের বেশ কিছু গাড়ি ও ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে আরও 'সেকেন্ডারি' বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিলে একই কারখানায় বিস্ফোরণে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছিলেন। সামরিক ও বাণিজ্যিক খাতে বিস্ফোরক তৈরির জন্য পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য ডিনামাইট, ল্যান্ডমাইনসহ বড়-ক্যালিবার গোলার জন্য বিস্ফোরক সরবরাহ করে আসছে।

হিকম্যান কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধারকর্মীরা এখনও ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না কারণ ভেতরে একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে। হাম্প্রিস কাউন্টির শেরিফ ক্রিস ডেভিস বলেছেন, 'এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের পাশে থাকা।' স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে প্রায় ১৫ মাইল দূরের বাড়িগুলো কেঁপে ওঠে। এক নারী বলেন, "আমি ভেবেছিলাম যুদ্ধ শুরু হয়েছে। মনে হয়েছিল ঘর ভেঙে পড়বে।" অনেকে জানালার কাচ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখতে মদ্যপান, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যুরো ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে।

টিজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অনুপ্রবেশের কারণে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে : অমিত শাহ Oct 11, 2025
img
বাংলাদেশে আসা এলপিজি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র Oct 11, 2025
img
মোমেন্টাম ধরে রেখে টানা ২য় শিরোপা জিততে চান আকবর Oct 11, 2025
img
পঞ্চগড়ে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সারজিসের লংমার্চ Oct 11, 2025
img
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে বাংলাদেশমুখী এলপিজির জাহাজ Oct 11, 2025
img
সেফ এক্সিটপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার দাবি ইনকিলাব মঞ্চের Oct 11, 2025
img
হংকং চায়না ম্যাচের আগে কথা হয়েছিল তামিম-হামজার Oct 11, 2025
img
চেলসির জার্সিতে ফিরছেন হ্যাজার্ড! Oct 11, 2025
img
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বন্ধ যান চলাচল Oct 11, 2025
img

নাঈম শেখ

যারা ক্রিকেট খেলে তাদের এত চাপ কিসের? Oct 11, 2025
img
আরেক দেশে ইসরায়েলের হামলা Oct 11, 2025
img
বাগদান সারলেন বিএনপি নেতা ইশরাক Oct 11, 2025
img
কার্বন ট্যাক্সের বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র, সমর্থনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি Oct 11, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর সিস্টেম পাল্টাতে হবে: আমীর খসরু Oct 11, 2025
img
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের Oct 11, 2025
img
কোহলিকে ছাড়িয়ে গেলেন গিল Oct 11, 2025
img
ইতালিতে প্রকাশ্যে বোরকা-নিকাব নিষিদ্ধের প্রস্তাব Oct 11, 2025
img
২৯টি শেনজেনভুক্ত দেশে চালু হচ্ছে নতুন ডিজিটাল এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম Oct 11, 2025
img
কিশোরগঞ্জের হাওরে বজ্রপাতে প্রাণহানি ১ জনের Oct 11, 2025
img
টেকনাফে নৌবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার Oct 11, 2025