যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো এই পুরস্কারটি তার ‘সম্মানেই’ গ্রহণ করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘‘যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করে বললেন ‘আমি এই পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি, কারণ প্রকৃতপক্ষে এটি আপনারই প্রাপ্য।’ এটি সত্যিই ভদ্রতা ও সৌজন্যের পরিচয়।” মজার ছলে তিনি আরও বলেন, “আমি তখন অবশ্য বলিনি, ‘তাহলে পুরস্কারটা আমাকে দিয়ে দিন,’” বক্তব্যের এই অংশে উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন।
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি মাচাদোর আন্দোলনে সহায়তা করেছেন এবং বলেন, ‘আমি খুশি, কারণ লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি।’ এর আগে, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ পোস্টে মারিয়া করিনা মাচাদো লিখেছিলেন, ‘আমি এই পুরস্কারটি ভেনেজুয়েলার কষ্টভোগী জনগণের উদ্দেশে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি, যিনি আমাদের আন্দোলনে দৃঢ় সহায়তা করেছেন।’
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত বন্ধে ভূমিকা রেখেছেন এবং এজন্য নোবেল পুরস্কারের যোগ্য। তিনি বলেন, ‘আমি আটটি শান্তিচুক্তি করেছি এর মধ্যে ইসরায়েল-গাজা ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার একটি চুক্তিও ছিল।’ তার ভাষায়, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সাতটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল, পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। আমি বাণিজ্যনীতি দিয়ে এটি থামিয়েছিলাম। বলেছিলাম, যদি তোমরা যুদ্ধ চালাও, তবে বিশাল শুল্ক আরোপ করা হবে। পরে তারা থেমে যায় দুই দেশই পারমাণবিক শক্তিধর।’
তবে ট্রাম্পের এই দাবিকে আগেই দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছিল ভারত সরকার। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মারিয়া করিনা মাচাদো ‘ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য অবিরাম লড়াই’ করার স্বীকৃতি স্বরূপ এ বছরের শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
ট্রাম্প গত এক বছর ধরে নিজেকে ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ আখ্যা দিয়ে নোবেল পুরস্কারের প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। জাতিসংঘের অধিবেশনে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আমার মতো শান্তির রেকর্ড কারও নেই’ ইসরায়েল-ইরান, ভারত-পাকিস্তান এমনকি ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার’ বিরোধও তিনি নাকি মিটিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে অন্তত চার-পাঁচবার নোবেল দেয়া উচিত ছিল। সবাই জানে আমি এটার যোগ্য।’
এসএস/এসএন