দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেই যেন ছন্দে ফিরে গেল ব্রাজিল। গতি, দক্ষতা আর দলীয় নৈপুণ্যে দ্যুতি ছড়াল আনচেলত্তির শিষ্যরা। ফলাফলও তেমনই দক্ষিণ কোরিয়ার জালে পাঁচবার বল পাঠিয়ে প্রীতি ম্যাচটিকে উৎসবে পরিণত করল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সিউলের রাতটা যেন ব্রাজিলিয়ান ছন্দে দুলেছে। আনচেলত্তির দল মাঠে নামার পর থেকেই একের পর এক আক্রমণে বিপর্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের দাপুটে জয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
সংবাদ সম্মেলনেও দলীয় পারফরম্যান্সের প্রত্যাশার কথাই বলেছেন আনচেলত্তি, ‘আমরা যদি বিশ্বকাপ জিততে চাই, তাহলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের চিন্তা একটাই হতে হবে জয়। আমি চাই না কেউ “বিশ্বসেরা” হওয়ার কথা ভাবুক। আমি চাই সবাই ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করার কথাই ভাবুক।’
ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো ও এস্তেভাওরা যেন আজ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েই মাঠে নেমেছিলেন। নিজেরা গোল করে নায়ক হওয়ার চেয়ে দলের খেলায় অবদান রাখাই যেন ছিল সবার লক্ষ্য। আর এমন খেলার ফলস্বরূপই ব্রাজিল পেয়েছে অসাধারণ এই জয়।
দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘এটা ছিল পুরোপুরি দলীয় পারফরম্যান্সের দারুণ প্রদর্শনী। আমার মনে হয়, আমরা বলের দখলসহ কিংবা দখল ছাড়া, দুই পরিস্থিতিতেই দারুণ খেলেছি। দলের নিবেদন ছিল অসাধারণ। যখন দল খেলায় সম্পূর্ণ নিবেদিত থাকে, তখন তাদের মান নিজে থেকেই ফুটে ওঠে। আজ সেটাই দেখা গেছে। ম্যাচে কয়েকজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত দক্ষতাও দারুণভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
৫-০ গোলে জয়, ২০২২ বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। তৃপ্ত আনচেলত্তি বলেছেন, ‘দলের পারফরম্যান্সে আমি খুবই সন্তুষ্ট। যখন দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানো যায়, বিশেষ করে রক্ষণভাগ যদি দৃঢ় থাকে, তখন খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত দক্ষতা আরও উজ্জ্বল হয়ে ফুটে ওঠে। দল আজ সত্যিই ভালো খেলেছে। রদ্রিগো দারুণ ছিল, এস্তেভাও অসাধারণ খেলেছে। আক্রমণভাগে আমাদের অনেক বৈচিত্র্য আছে এবং আক্রমণে নানা রকম সমাধান আছে। আজ আমরা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত দক্ষতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পেরেছি।’
প্রীতি ম্যাচ হলেও এ ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের পথে যাত্রা শুরু করেছে ব্রাজিল। দারুণ ফল পেয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ব্রাজিল কোচ, ‘বিশ্বকাপের দিকে আমাদের যাত্রার শুরুটা দারুণ হয়েছে। কারণ, দল অসাধারণ খেলেছে। খেলাটা আমি ভীষণ উপভোগ করেছি।’
এসএস/এসএন