আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, তাদের সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে ভারসাম্যপূর্ণ ও অর্থনীতি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মুত্তাকি জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকে মাদক চোরাচালান রোধে সহযোগিতা, নিরাপত্তা ইস্যু, ভারতের আফগানিস্তানে বিনিয়োগ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, “গত চার বছরে আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আমরা শুনেছি, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের কাবুলে কূটনৈতিক মিশনকে দূতাবাসের পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।”
পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মুত্তাকি বলেন, “পাকিস্তানের ভেতরে কিছু বিশেষ গোষ্ঠী আছে, যারা আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”
তিনি তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সম্পর্কে দাবি করেন, “আফগানিস্তানে টিটিপি-এর কোনো উপস্থিতি নেই। যাকে পাকিস্তান হুমকি ভাবছে, তারা আসলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পাকিস্তানের জনগণ কিংবা রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। আফগানিস্তান তার সীমান্ত, আকাশসীমা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো লঙ্ঘনের তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া হবে।”
মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মুত্তাকি জানান, “আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষাকে হারাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে কিছু স্তরের শিক্ষাপ্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে আফগানিস্তানে ১ কোটির বেশি শিক্ষার্থী স্কুলে পড়ছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২৮ লাখ ছাত্রী রয়েছে।
ইএ/টিএ