টানা দ্বিতীয়বারের মতো এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল রংপুর বিভাগ। আকবর আলীর নেতৃত্বে শিরোপা ধরে রাখল তারা। এমন জয়ের পর আকবর কথা বলেছেন জাতীয় দলে খেলতে না পারা নিয়ে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন আকবর। শরিফুল, শামীম পাটোয়ারী থেকে শুরু করে তার সতীর্থরা অনেকেই জাতীয় দলে এখন নিয়মিত। যদিও আকবর এখনো সুযোগ পাননি। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আকবর বলেন, 'একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা কখনো কাজ করে না। হ্যাঁ, ভালো লাগা বা খারাপ লাগাটা এভাবে কাজ করে যে আমি ভালো খেলছি, ভালো অনুভূতি হচ্ছে। আবার যখন খারাপ করি তখন খারাপ অনুভূতি হয়। কিন্তু একরকম না ওরা খেলতেছে আমি নেই কেন। এই জিনিসটা খারাপ লাগে না।
আরও যোগ করেন, খারাপ লাগে যখন নিজে খারাপ করি। তখন আসলে বেশি খারাপ লাগে। আমি আসলে এগুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। যেখানেই সুযোগ থাকে, যেখানে মাঠে খেলার সুযোগ পাই, ওখানেই ভালো করার চেষ্টা করি।'
আকবর জানালেন ফাইনাল ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে স্পিনাররা, 'সত্যি বলতে আমি চেয়েছিলাম... যেহেতু টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলাম। ৫ টার দিকে খেলা শুরু হচ্ছে, আমরা জানি সন্ধ্যা হওয়ার এক ঘণ্টা সময়ও থাকে না। জানতাম ৩৫-৪০ মিনিট পর কুয়াশা পড়বে এবং ওই সময় স্পিনারদের বল গ্রিপ করা কঠিন হবে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত তাড়াতাড়ি স্পিনারদের শেষ করতে পারি, সুবিধা নিতে পারি। আমি বলব স্পিনাররা দারুণভাবে এক্সিকিউট করেছে।'
এ ছাড়া সিলেটের মাঠে দর্শকরা না আসা নিয়ে আকবর বলেন, 'দেখুন–দর্শকের কথা যতটা বললেন, সিলেটে হয়তোবা আমরা ওভাবে দর্শক পাইনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, বিসিবি যেভাবে উদ্যোগটা নিয়েছিল—রাজশাহী ও বগুড়াতে খেলা হলে হাজার হাজার দর্শক হতো। এটা আমি সিউর। কারণ আমি টিকিটের লাইন দেখেছি। যখন বগুড়ায় মাঠে ঢুকছিলাম কিংবা বের হচ্ছিলাম, তখন আমি টিকিটের লম্বা লাইন দেখেছি।'
এবি/টিকে