ট্রাম্পের ভাষণে বাধা, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবি

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের সময় হট্টগোল করেছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তিনি কিছুক্ষণের জন্য ভাষণ থামাতে বাধ্য হন। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় এক সদস্য ট্রাম্পের ভাষণ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্পের ভাষণের মাঝে তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে একটি কাগজ তুলে ধরেন। সেখানে লেখা ছিল, ‌‌‘‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন।’’

পরে নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা পার্লামেন্টে সৃষ্ট হট্টগোল থামানোর জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় প্রতিবাদ জানানো সংসদ সদস্যকে দ্রুত পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়।

স্পিকার ওহানাকে বামপন্থী রাজনীতিক ওফার কাসিফের নাম উচ্চারণ করতে শোনা গেলেও, ঠিক কাকে বের করে দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যম বলেছে, সম্ভবত দুজন সংসদ সদস্যকে বাইরে নেওয়া হয়েছে।

এরপর ট্রাম্প হাস্যরস করে বলেন, ওটা ছিল খুবই কার্যকর ব্যবস্থা। এরপর পুনরায় বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর।’’
তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন অসাধারণ সাহসী মানুষ। ট্রাম্পের এমন প্রশংসার সময় সংসদ সদস্যদের অনেকে নেতানিয়াহুর ডাকনাম ‘‘বিবি’’ বলে স্লোগান দেন।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরে ভূমিকা রাখায় আরব বিশ্বের দেশগুলোকেও ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, এটি এক অবিশ্বাস্য সাফল্য। তারা একসঙ্গে কাজ করেছে।

ট্রাম্প বলেন, এখন এটি হবে ইসরায়েলের স্বর্ণযুগ। একই সঙ্গে পুরো অঞ্চলেরও স্বর্ণযুগ। এরপর ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কথা বলেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমরা আজ এক গভীর আনন্দ ও আকাশচুম্বী প্রত্যাশার দিনে একত্রিত হয়েছি।

‘‘দীর্ঘ দুই বছরের অন্ধকার ও বন্দিদশার পর ২০ জন সাহসী জিম্মি তাদের পরিবারের ভালোবাসার মাঝে ফিরে এসেছেন। আরও ২৮ জন প্রিয়জন অবশেষে এই পবিত্র মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে ফিরে এসেছেন।’’
তিনি বলেন, বন্দুক এখন থেমে গেছে। অঞ্চলটি এখন শান্তিতে রয়েছে এবং এই শান্তি যেন অনন্তকাল স্থায়ী হয়।

সূত্র: বিবিসি।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন স্পষ্ট : স্থানীয় সরকার সচিব Oct 13, 2025
img
ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির আওতায় আমদানিতে ছাড় দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক Oct 13, 2025
img
আপনি চাকরিপ্রার্থী নন চাকরি সৃষ্টিকারী, তরুণদের উদ্দেশ্যে ড. ইউনূস Oct 13, 2025
রাজনীতিবিদ ও আমলাদের ধুয়ে দিলেন ওসমান হাদী! Oct 13, 2025
ট্রাম্পের হুমকিতে ভয় পায় না চীন! Oct 13, 2025
এনটিআরসিএ ভবনে উত্তেজনা! শিক্ষকদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ Oct 13, 2025
জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে বড় উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান: নয়ন Oct 13, 2025
উপদেষ্টাকে ট্রেনের গতি পরীক্ষার আহ্বান জানালেন মিলন Oct 13, 2025
img
পডকাস্টে তামান্নাকে নিয়ে অশোভনীয় মন্তব্য, বিতর্কে আন্নু কাপুর Oct 13, 2025
img
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদ Oct 13, 2025
img
মানুষ ধীরে ধীরে বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে : সারজিস Oct 13, 2025
img
শাহরুখ–কাজল একসঙ্গে মঞ্চে, নস্ট্যালজিয়ায় ভাসছে বলিউড Oct 13, 2025
img
৯ মাসে রংপুর রিজিয়নে ৬০ কোটি টাকার পণ্য জব্দ, গ্রেপ্তার ৫০১ Oct 13, 2025
img
অভিনেতাদের কাজের সময় সীমিত করা কি অপরাধ!, প্রশ্ন কঙ্কনার Oct 13, 2025
img
আম-ছালা দুইটাই হারানোর শঙ্কা জামায়াতের Oct 13, 2025
img
আসন্ন ম্যাচে মিতুলের ওপর ভরসা কোচ ক্যাবরেরার Oct 13, 2025
img
ক্ষুধা অভাবের কারণে হয় না, এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা : ড. ইউনূস Oct 13, 2025
img
হতাশায় এনসিপি থেকে সরে দাঁড়ালেন ফিরোজ আলমগীর Oct 13, 2025
img
সেরা অভিনেতার পুরস্কার স্ত্রী ঐশ্বরিয়াকে উৎসর্গ করলেন অভিষেক বচ্চন Oct 13, 2025
img
অধ্যাদেশের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ, আপাতত আন্দোলন স্থগিত Oct 13, 2025