সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রুমিন ফারহানার মন্তব্য

পঞ্চগড়ে বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্যের যে ভাষা, সেটা কয়েকটি বিষয় ইঙ্গিত করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে কথা বলতে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত পরশু আশুগঞ্জে আমার একটা বিরাট জনসভা ছিল। ওখানে প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষ জমা হয়েছিল। আমি বক্তব্য দিতে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কারেন্ট চলে গেছে।

জেনারেটরও ঠিকমতো কাজ করছিল না কোনো একটা কারণে। কারণ লোক তো অনেক, জেনারেটরের তার বোধ হয় ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে আমাকে ১০-১৫ মিনিট মাইক ধরে সবাইকে থামিয়ে বক্তব্য দিতে হয়েছে।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এটা তো খুব স্বাভাবিক ঘটনা বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে বিদ্যুতের ক্রাইসিস অনেক। ঢাকার বাইরে যদি আপনি না যান, শুধু ঢাকা শহরে বসে আপনি ক্রাইসিস টের পাবেন না। এলাকাগুলোতে গ্রামগঞ্জগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইলেক্ট্রিসিটি থাকে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা যদি বিদ্যুৎ থাকে তো ১২ ঘণ্টা থাকে না। এটার মধ্যে দিয়েই তো আমরা কাজ করছি এবং আমি বহুবার এরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি।’

‘কিন্তু সারজিস যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, এই ভাষাটা কয়েকটা বিষয় ইঙ্গিত করে। সেটা হচ্ছে, আমরা শেখ হাসিনার সময় দেখেছি, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে উনাদের নেতাকর্মীদের এক ধরনের ঔদ্ধত্য তৈরি হয়েছিল। পরের দিকে এবং তারা বলতেন যে নৌকায় ভোট না দিলে এলাকায় ঢুকতে পারবে না, নৌকায় ভোট না দিলে কবরস্থানে জায়গা দেব না, কবরে ঢুকাতে দেব না; ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে অশ্রাব্য কথাবার্তা বলতেন যা হচ্ছে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার ফল। আর এরা যেহেতু মাত্রই রাজনীতিতে এসেছে, এটা ১৫ মাস হওয়ার আগেই তাদের মধ্যে সেই ঔদ্ধত্য এবং সেই বাক্য দেখতে পাচ্ছি।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আপনি জমিদারের নাতি হতেই পারেন, কিন্তু দেশে আসলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সেরকম নাই। সেই বিদ্যুতের অবস্থা সেরকম না যে, আপনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পাবেন। এটা আমাদের সবারই ফেস করতে হয়। কিন্তু আমরা যেহেতু ফেস করে অভ্যস্ত এবং গত ১৫ বছর ধরে ২০ বছর ধরে এগুলো হয়েছে, আমরা এটাতে যে কোনোভাবে মানিয়ে নিয়েছি। আমাদের সেই ধৈর্য প্রজ্ঞা আছে যে রাজনীতিতে এই কথাগুলো বলা যায় না।’

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বগুড়া-রাজশাহীতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ Oct 14, 2025
img
শিক্ষকদের ন্যায্য সব দাবি মেনে নিন : ব্যারিস্টার ফুয়াদ Oct 14, 2025
img
গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণে এফএও মহাপরিচালকের সহায়তার আশ্বাস Oct 14, 2025
img
এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির পথে ইতালি! Oct 14, 2025
img
৪-৫ জন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছে: ডা. তাহের Oct 14, 2025
img
রুক্মিণীর নতুন ছবি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এ চিরঞ্জিতের আবেগঘন প্রশংসা Oct 14, 2025
img
অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ‘সেনা আইনে’ বিচার দাবি এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন Oct 14, 2025
img
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে ইসি নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে Oct 14, 2025
img
ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
ক্ষমতা ছাড়বেন মাদুরো : মারিয়া কোরিনা মাচাদো Oct 14, 2025
img
২০ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক Oct 14, 2025
নিশ্বাস ধরে ‘পারফেক্ট শট’ দিলেন সামিরা খান মাহি! Oct 14, 2025
img
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: দুদক চেয়ারম্যান Oct 14, 2025
নেটপাড়ায় শিরোনামে তামান্না ভাটিয়া, বিতর্কে অন্নু Oct 14, 2025
'মার্চ টু সচিবালয়' যা বলছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা Oct 14, 2025
কেমন সাড়া পাচ্ছেন রাবিতে ছাত্রশিবিরের প্যানেল? জানালেন ভিপি প্রার্থী Oct 14, 2025
img
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
টিভিতে দেখাবে না বাংলাদেশ-হংকং চায়না ম্যাচ, দেখা যাবে অনলাইনে Oct 14, 2025
img
ট্রাম্প শান্তির দূত, ফের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করব: শেহবাজ শরিফ Oct 14, 2025
img
বিকেলে জাপানের মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল Oct 14, 2025