মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান প্রস্তুত হলে যুক্তরাষ্ট্রও সমঝোতায় যেতে প্রস্তুত। সোমবার ইসরায়েলি পার্লামেন্টে নেসেটে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি বছরের জুনে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর আগে তেহরান ও ওয়াশিংটন পাঁচ দফা পারমাণবিক আলোচনা করেছিল। তবে ১২ দিনের সেই যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
আলোচনার প্রধান অন্তরায় ছিল ইরানের ভূমিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ইস্যু। পশ্চিমা দেশগুলো এ কার্যক্রম শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়, যাতে অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি দূর হয়। কিন্তু তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
‘ওয়াশিংটন প্রস্তুত, যখন তেহরান প্রস্তুত হবে-এটি ইরানের ইতিহাসে নেয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে এবং এটি হবেই,’ ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির প্রসঙ্গে বলেন ট্রাম্প।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত খোলা আছে। যদি আমরা চুক্তি করতে পারি, সেটি দারুণ হবে।’
শনিবার (১১ অক্টোবর) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ’ প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও বলেন, তেহরান এখনো আলোচনার জন্য কোনো প্রাথমিক প্রস্তাব পায়নি।
‘যদি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুক্তিসঙ্গত, ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য কোনো আলোচনার প্রস্তাব পাই, অবশ্যই তা বিবেচনা করব,’ শনিবার (১১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
তিনি জানান, তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে বার্তা বিনিময় চলছে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির সোমবার (১৩ অক্টোবর) ট্রাম্প ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেন। এরপর তিনি মিসরে যাওয়ার কথা জানান, যেখানে গাজায় টেকসই শান্তির পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের নেতারা যদি সন্ত্রাসীদের ত্যাগ করে এবং অবশেষে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার স্বীকার করে নেয়, তাহলে এই অঞ্চলের জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।”
সূত্র: রয়টার্স।
টিকে/